সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায়

গত দেড় বছর সাদা পোশাকে টাইগারদের পক্ষে খেলেননি। দেশের সবচেয়ে সৃজনশীল ও ধ্রুপদি ব্যাটিং শিল্পী মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অতীত হয়ে যাচ্ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে। ক্রিকেট বোর্ডও তাকে অতীত করে ফেলার রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছিল। কিন্তু সময় ও পরিস্থিতি সুযোগ করে দেয় মাহমুদুল্লাহকে। সুযোগ পেয়েই ছুড়ে ফেলার জবাব দেন টিম   ম্যানেজমেন্টকে। দলের চরম বিপর্যয়ে হিমালয়সম দৃঢ়তায় ব্যাটিং করে ১৫০ রানের প্রতিবাদী ইনিংস খেলেন। গোটা দেশ, সতীর্থ ও ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন টি-২০ অধিনায়কের বন্দনায় ব্যস্ত, তখনই চমকে দেন মাহমুদুল্লাহ। জানিয়ে দেন হারারে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। তার এই ঘোষণায় হতবিহবল হয়ে পড়ে বিসিবি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ অটল থাকে নিজ সিদ্ধান্তে। সতীর্থরাও মেনে নেন তার সিদ্ধান্ত। গতকাল টেস্টের শেষ দিন মাঠে নামার আগে মাহমুদুল্লাহকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছেন মুমিনুলরা। এরপরই নিশ্চিত হয়েছে ৫০ টেস্ট খেলেই ক্যারিয়ারে ইতি টেনে দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর এরচেয়ে ভালো উপলক্ষ আর কি হতে পারে? সর্তীথরা তার বিদায়ী টেস্টকে রাঙাল জয় উপহার দিয়ে।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান হিসেবে। কিন্তু আলো ছড়িয়েছিলেন ঘূর্ণিতে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাহমুদুল্লাহ। টাইগারদের অন্যতম সঙ্গী হয়ে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ খেলেছেন নিয়মিত। এখনো নিয়মিত খেলেন ওয়ানডে ও টি-২০। কিন্তু টেস্ট স্কোয়াডে উপেক্ষিত ছিলেন। হারারের আগে সর্বশেষ খেলেছিলেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। বাজে পারফরম্যান্সের জন্য এরপর বাদ পড়েন। জায়গা হয়নি জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। তখনই সবাই নিশ্চিত হয়ে যায়, টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ মাহমুদুল্লাহ’র। বিসিবিও তাকে টেস্ট দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয়। মাহমুদুল্লাহ জেনে ফেলেছিলেন তার টেস্ট ভবিষ্যৎ।

১৭ মাস পর হঠাৎ টেস্ট খেলার সুযোগ পান। তবে একাদশে খেলার সুযোগ ছিল না। তামিমের জায়গায় সুযোগ পান। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দল যখন পুরোপুরি কোণঠাসা, তখনই মাহমুদুল্লাহ গ্রেট ওয়ালের দৃঢ়তায় ব্যাটিং করে দলকে টেনে নিয়ে যান ৪৬৮ রান পর্যন্ত। নিজে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানে হার না মানা ইনিংস। নবম উইকেট জুটিতে তাসকিনকে নিয়ে ১৯১ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। গত ১২ বছরের ক্যারিয়ারে ৫০ টেস্ট খেলে রান করেছেন ৩৩.৪৯ গড়ে ২৯১৪। সেঞ্চুরি ৫ এবং হাফসেঞ্চুরি ১৬টি। উইকেট ৪৩টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর