সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

রিমান্ডে দফায় দফায় জেরার মুখে হেলেনা রাজ সিন্ডিকেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিজাত এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাদক কারবার, ব্লাকমেলিং ও অনৈতিক কর্মকান্ডসহ নানা বিষয়ে আসামিদের দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। র‌্যাব ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতারের পর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। শুক্রবার সব মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করে মামলাগুলোর তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি আসামিদের বুঝে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

জানা গেছে, ২ আগস্ট বারিধারার বাসা থেকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মোহাম্মদপুর থেকে মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মোহাম্মদপুর, গুলশান, ভাটারা ও খিলক্ষেত থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে মামলাগুলোর তদন্ত সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়েছে। ৩ আগস্ট রাতে ভাটারা থানা এলাকা থেকে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী জিসানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের বিরুদ্ধে ভাটারা ও খিলগাঁও থানায় চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা করে র‌্যাব। ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে নায়িকা পরীমণি, প্রযোজক নজরুল রাজ, পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের ম্যানেজার সবুজ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে। বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ২৯ জুলাই গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে তাকেও জেরা করা হচ্ছে।

অভিজাত এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ব্লাকমেলিংসহ নানাভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন ফ্ল্যাটে মদের আসর বসানো ও ডিজে পার্টি করার তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। এসব আসরে কারা যেতন সে বিষয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর