সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাই কোর্ট। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একই সঙ্গে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, অর্থ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সংবাদপত্র অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি ও টেলিভিশন চ্যানেলের একজন প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে রিট করেন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান। তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাই কোর্ট রুল জারি করেছে। কোনো প্রকার তথ্য-উপাত্ত ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক ও পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেসব মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়, সেসব নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মানহানিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে রিটকারীর আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।’