বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা

২২২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম দিন প্রথম ঘণ্টায় শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। তার পরও মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জোড়া সেঞ্চুরিতে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুর টেস্টে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৬৫ রানে। প্রথম দিনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিন স্কোর বোর্ডে যোগ করেছে আরও ৮৮ রান। এবারও তিন ব্যাটার-মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এক ইনিংসে ছয় ব্যাটার শূন্য। নিজেদের ১৩২ টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এমন রেকর্ডের টেস্টে জবাবটা ভালোই দিচ্ছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৪৬ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৩ রান। আজ তৃতীয় দিন ২২২ রানে পিছিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে চান্ডিমল বাহিনী।

টাইগারদের এক ইনিংসে ছয় ব্যাটার শূন্য করেছেন এবারই প্রথম নয়। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় ব্যাটার-মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ, এনামুল হক, তাপস  বৈশ্য ও তালহা জুবাইর শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ওই ম্যাচে ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার জার্মেইন লসন মাত্র ৮৭ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। লসনের স্পেল ছিল ৬.৫-৪-৩-৬! ক্রিকেট বিশ্বের এক ইনিংসে ৬ ব্যাটারের শূন্য রানের আউটের রেকর্ড রয়েছে আরও চার বার। ১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান, ১৯৯৬ সালে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত এবং ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। 

২৪ রানে ৫ উইকেটের পতনের পরও মুমিনুল বাহিনী প্রথম দিন শেষ করেছিল ২৭৭ রান তুলে। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক ও লিটন। মুশফিক ১১৫ ও লিটন ১৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আরও ১৯ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। দলীয় ২৯৬ রানে লিটন সাজঘরে ফিরেন। তখন তার রান ১৪১। ২৪৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৬ চার ও এক ছক্কা। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। ৩৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ২১টি চার। চট্টগ্রাম টেস্টেও ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সফরকারীরা খেলতে নেমে দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নের হাফ সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছে। মিরপুর খেলতে নেমে উইকেট নিয়েছেন ইবাদত। ওশাদা আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৫৭ রানে এবং করুণারত্নে অপরাজিত রয়েছেন ৭০ রানে। তবে দ্বিতীয়বার ছয় ডাকের বিব্রতকর কীর্তি গড়লেও, রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ দল। লিটন দাস (১৪১) ও মুশফিকুর রহিমের (১৭৫*) দারুণ দুই সেঞ্চুরির সুবাদে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ করেছে ৩৬৫ রান। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর