বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে জেএসএস ও কেএনএফ বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের দুজন হলেন, চিতা রাম ত্রিপুরা (৬৫) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র ত্রিপুরা (৫০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ওই এলাকার একটি শিশু। তবে তাৎক্ষণিক অপর এক নিহত এবং আহত শিশুর নাম জানা যায়নি। বুধবার ভোর রাতে বিলাইছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বড়থলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

নিহতরা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কর্মী বলে জানা গেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে সম্মত হননি ওই সংগঠনের নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়নে পাহাড়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে দুই গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত ও গ্রামের এক শিশু আহত হয়।

বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথৌয় মং মারমা বলেন, বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকা ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বড়থলী ইউনিয়ন। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত নৌকা অথবা পায়ে হেঁটে। এ ছাড়া বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা থেকেও পায়ে হেঁটে এ ইউনিয়নে যাওয়া যায়। তবে অনেক সময় লাগে। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বড়থলী গ্রামে হানা দিয়ে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করে পালিয়ে যায়। তবে বন্দুকযুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত নই। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে তিন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন আহত হয়েছে এক শিশু। এ বিষয়ে কথা বলতে বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর