রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মামলার খড়গ বিএনপিতে

♦ ২০ দিনে অর্ধশত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ৪৯৭০, অজ্ঞাত ২৫১৫০ ♦ পুরনোগুলোও হচ্ছে সচল ♦ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা অব্যাহত

শফিউল আলম দোলন ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ

মামলার খড়গ দিন দিন বেড়েই চলেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাথার ওপর। গতকাল পর্যন্ত ২০ দিনের কর্মসূচি চলাকালে সারা দেশে ৫১টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২০ জন নেতা-কর্মীকে। নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন, ভোলায় ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নামের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি ও কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ার ছাত্রদল নেতা শ্রাবণসহ সারা দেশে গুরুতর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৮ জন নেতা-কর্মী। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হামলায় আহত হয়ে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সারা দেশে গ্রেফতার হয়েছেন ২৯০ জন। গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক আটক হয়েছেন সাতজন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ সারা দেশে অর্ধশত মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭০ জনেরও অধিক নেতা-কর্মীকে। আর এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২৫ হাজার ১৫০ জনেরও বেশি। সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ২৫টি স্থানে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর ও নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি চলতেই থাকবে। এসব মামলা-হামলা করে জনগণের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। বিএনপি নেতা-কর্মীরা এসবে আর ভয় করে না। আমাদের সঙ্গে সারা দেশে সাধারণ জনগণও যোগ দিচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীতে ১৬ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরপর আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে। চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের এ আন্দোলন চলবে।’ জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়ি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাড়ি, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও অ্যাডভোকেট আহম্মেদ আজম খানের গাড়িতে হামলাসহ দেশব্যাপী ৫০টি স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের বাড়িঘর এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দমননীতি শুরু করেছে সরকার। মামলা-হামলাসহ জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাইছে তারা। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। কারণ গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশেই মানুষ মাঠে নামতে শুরু করেছে। এ সরকারের পতন অনিবার্য।’ ২২ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের কর্মসূচি চলাকালে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হতাহতের সংখ্যা, মামলা, গ্রেফতার ও আসামির সংখ্যা স্থানভেদে-

রংপুর বিভাগ : গাইবান্ধা জেলায় ২০ জন আহত, মামলা ১টি, ৫০ জন এজাহারনামীয় ও ১০০ জন অজ্ঞাত আসামি। ঠাকুরগাঁও জেলায় ২২ জন আহত, মামলা ১টি, ২০ জন আসামি। রংপুর জেলায় ৫০ জন আহত, ১০ জন গ্রেফতার, মামলা ১টি, ৫০ জন এজাহারনামীয় এবং ১০০ জন অজ্ঞাত আসামি।

রাজশাহী বিভাগ : সিরাজগঞ্জ জেলায় ১০০ জন আহত, মামলা ১টি, ১০০ জন এজাহারনামীয় ও ১০০০ জন অজ্ঞাত আসামি। নাটোরে ১ জন আহত, ৫ জন গ্রেফতার, মামলা ২টি, ৬০ জন এজাহারনামীয় ও ২০০ জন অজ্ঞাত আসামি।

চট্টগ্রাম বিভাগ : ফেনী জেলায় ১০০ জন আহত, ৫ জন গ্রেফতার, মামলা ৩টি, ২০০ জন এজাহারনামীয় ও ৫০০ জন অজ্ঞাত আসামি। নোয়াখালী জেলায় ১০০ জন আহত, ১০০ জন গ্রেফতার, মামলা ৩টি, ৩০০ জন এজাহারভুক্ত ও দেড় হাজার অজ্ঞাত আসামি। লক্ষ্মীপুর জেলায় ৪০ জন আহত। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় আহত ৩০ জন, গ্রেফতার ৬ জন, মামলা ২টি, এজাহারভুক্ত আসামি ১০০ জন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় ১০ জন আহত, মামলা ৪টি, এজাহারনামীয় আসামি ৪০০ ও  অজ্ঞাত ২০০। চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ জন আহত। খাগড়াছড়ি জেলায় ৫০ জন আহত, মামলা ৩টি, ৩০০ জন এজাহারনামীয় ও ১৫০০ অজ্ঞাত আসামি। রাঙামাটি জেলায় আহত হয়েছেন ১০ জন।

ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইল জেলায় ২০ জন আহত, মামলা ১টি, ৫০ জন এজাহারনামীয় ও ২০০ জন অজ্ঞাত আসামি। মানিকগঞ্জে ১০০ জন আহত, ৫০ জন গ্রেফতার, মামলা ১টি, ১০০ জন এজাহারনামীয় ও ২৫০০ জন অজ্ঞাত আসামি। মুন্সীগঞ্জে ৫০ জন আহত, মামলা ১টি, ১০০ জন এজাহারনামীয় ও ৫০০ জন অজ্ঞাত আসামি। ঢাকা জেলায় ১৫ জন আহত, গাজীপুর জেলায় ১২ জন আহত, ৩ জন গ্রেফতার, মামলা ১টি, ৫০ জন এজাহারনামীয় ও ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামি। গাজীপুর মহানগরে আহত হয়েছেন ১৫ জন। নরসিংদীতে আহত ২০ জন, গ্রেফতার ১০ জন, মামলা ২টি, এজাহারভুক্ত আসামি ১০০ জন। নারায়ণগঞ্জে নিহত ১, আহত ৩০০, মামলা ২টি, এজাহারনামীয় আসামি ৭০ এবং অজ্ঞাত ৫ হাজার।

খুলনা বিভাগ : মেহেরপুর জেলায় আহত ২০০ জন, গ্রেফতার ৭, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ১০০ জন ও অজ্ঞাত ৫০০ জন। ঝিনাইদহ জেলায় আহত ৫০ জন, গ্রেফতার ৫, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ৫০ জন ও অজ্ঞাত ২০০ জন। যশোর জেলায় ১০ জন আহত, গ্রেফতার ২, মামলা ১টি, এজাহারভুক্ত আসামি ১০০ জন। মাগুরা জেলায় আহত ২০ জন, গ্রেফতার ২০ জন, মামলা ২টি, এজাহারনামীয় আসামি ১০০ ও অজ্ঞাত ৪০০ জন। নড়াইল জেলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। বাগেরহাট জেলায় ২০ জন আহত, মামলা ২টি, আসামি ৫০০ জন। খুলনা জেলায় আহত ১০ জন। কুষ্টিয়ায় ৭ জন গ্রেফতার, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ৫০ জন ও অজ্ঞাত ২০০।

কুমিল্লা বিভাগ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আহত ৭০, গ্রেফতার ৩ জন, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ৫০ জন ও অজ্ঞাত ২০০। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় আহত ৩০০ জন, মামলা ৫টি, এজাহারনামীয় আসামি ৫০০ জন ও অজ্ঞাত ৫ হাজার। কুমিল্লা মহানগরে আহত হয়েছেন ৫ জন। চাঁদপুরে আহত ১০ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগ : কিশোরগঞ্জে আহত ২০০, গ্রেফতার ২৭, মামলা ২টি, এজাহারভুক্ত আসামি ১০০ জন এবং অজ্ঞাত আসামি ৫০০ জন। জামালপুরে আহত ২০ জন, গ্রেফতার ১ জন, মামলা ১টি, আসামি ১০০ জন। ময়মনসিংহ জেলায় আহত হয়েছেন ৬ জন। নেত্রকোনায় আহত ৫০০ জন, গ্রেফতার ২৫ জন, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ১০০ জন ও অজ্ঞাত ২ হাজার।

বরিশাল বিভাগ : বরগুনা জেলায় আহত ৫০ জন, গ্রেফতার ১২ জন, মামলা ৩টি, এজাহারনামীয় আসামি ১০০ জন ও অজ্ঞাত ৩০০। পটুয়াখালী জেলায় আহত ৫০ জন, গ্রেফতার ১০, মামলা ২টি, এজাহারনামীয় আসামি ১০০ জন ও অজ্ঞাত ১০০০। ভোলা জেলায় দুজন নিহত, ৫০ জন আহত। বরিশাল মহানগরীতে আহত ৫০, মামলা ৩টি, এজাহারনামীয় আসামি ১৫০ জন ও অজ্ঞাত ৫০০। ঝালকাঠি জেলায় আহত ৫০ জন। পিরোজপুর জেলায় আহত ৫০, গ্রেফতার ১০, মামলা ৩টি, এজাহারনামীয় আসামি ১৫০ জন ও অজ্ঞাত ৫০০।

ফরিদপুর বিভাগ : ফরিদপুর জেলায় আহত ১০ জন, মামলা ১টি, এজাহারনামীয় আসামি ৫০ জন ও  অজ্ঞাত ৫০০ জন। জানা গেছে, মামলার আসামি গ্রেফতারে নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ফলে বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না তারা। পুরনো মামলাগুলোও সচল করা হচ্ছে। এক মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় গেলে গ্রেফতারের পর ফের নতুন মামলায় আটক দেখাচ্ছে পুলিশ।

গ্রেফতার মামলা অব্যাহত : বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গতকাল সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্পাদকসহ পাঁচ, রংপুরে সাত, পিরোজপুরে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাজিরপুরে ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বগুড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঝালকাঠিতে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে কর্মসূচি। উলিপুর, উত্তর মতলব, সাদুল্লাপুর ও লৌহজংয়ে সমাবেশ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহসভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, ভিপি শামিম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট ও কাজিপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ কবির চান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার আদাবর থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রংপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মীর কাশেম মিঠুসহ আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মিঠুসহ তিনজন এজারভুক্ত আসামি। এ নিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, নাজিরপুরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক পলাশ, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টনিকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান ফকির বাদী হয়ে শনিবার নাজিরপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বগুড়ার শেরপুরে একই সময় ও স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা আহ্বান করায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও শহর যুবদলের নেতা-কর্মীরা শহরের কামারপট্টি সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে যুবদল নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, ঘোড়াঘাটে বিএনপি-কৃষক লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। উপজেলার ঘোড়দৌড় বাজারে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ জাহান খান। চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের উত্তর মতলবে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। তানভীর হুদার নেতৃত্বে উপজেলার খন্দকারকান্দি দারুল উলুম রহমানিয়া মাদরাসা মাঠে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপি বলেছেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি ভারতের দালালি করার জন্য নয়। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর