শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকার অন্য কিছু চায়, বিএনপি চায় গণতন্ত্র : ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার মনে হয় অন্য কিছু চায়। বিএনপি চায় গণতন্ত্র। শান্তিপূর্ণভাবে নয়টি বিভাগে জনসভা করেছে বিএনপি। সরকারের সব বাধা উপেক্ষা করে এসব জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে। ড. মোশাররফ গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা ও নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে চেয়েছি।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে তারা জনগণের দাবি অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টা সফল হবে না। জনগণের আন্দোলনের সামনে সব স্বৈরাচারকেই নতিস্বীকার করতে হয়। বর্তমান সরকারকেও করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গভীর রাতে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে আসার মধ্যে স্বেচ্ছাচারিতা ও দম্ভের প্রকাশ আছে, কোনো যুক্তি নেই। বিএনপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছে। বিএনপির সিনিয়র এই নেতা ৭ ডিসেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, পুলিশ নিজে ব্যাগে করে বোমা অফিসের ভিতরে নিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে যে, ওইগুলো অফিসে পাওয়া গেছে। কিন্তু সাংবাদিকদের চোখে তা ধরা পড়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তা প্রচার হয়েছে। এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নিন্দা করার ভাষা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, একই দিনে অফিসের ভিতর ও বাইরে থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতাসহ প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। এমনকি গ্রেফতারকৃত অনেক আহত নেতা-কর্মীকে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তিনি গ্রেফতারকৃত সব নেতা-কর্মীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারি বাহিনীসমূহ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা প্রায় ১৫ দিন ধরে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে জনসভা বানচালের জন্য গোটা ঢাকা মহানগর এবং ঢাকা বিভাগসহ সব বিভাগের সব জেলা, উপজেলা ও মহানগরে মহড়া দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন এসব কার্যক্রম পুলিশের সামনেই এবং সমর্থনে চলছে। রাজধানী ঢাকায় সরকারি দল হঠাৎ করেই মিছিল করছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছে। এ অবস্থায় যদি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কারণ, আমাদের এ গণসমাবেশ দুই মাস আগ থেকেই নির্ধারিত ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর