শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাভারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

সাভার প্রতিনিধি

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলায় আহত ফার্মেসি ব্যবসায়ী হোসেন আলী (৪০) এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার ভোরে এনাম মেডিকেলে নিউরো-আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী।

নিহত হোসেন আলী সাভার রাজফুলবাডীয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত শফিতুল্লার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু, তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন, মো. আব্বাস বাদল, কামরুল, নাঈম, আনিস ও মুন্নাসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন। তারা সবাই রাজফুলবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সাবু ও নিহতের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে গত ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোসেন ও তার ভাই খোরশেদ রিকশায় রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় রামচন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছলে অভিযুক্তরা তাদের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ছুরি, রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেলের নিউরো আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে হোসেন আলী মারা যান। হোসেনের ছোট ভাই খোরশেদ আলী বলেন, সেদিন আমিও ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। আমাকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। কিন্তু আমি বেঁচে গেলেও আমার ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না। সাবু তো সন্ত্রাসী আগে থেকেই, তার বিরুদ্ধে ১০-১২টা জিডিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে তার দলবল নিয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলল।

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু বলেন, হোসেনের চাচাতো ভাইদের সঙ্গে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল, কিন্তু হোসেনের সঙ্গে তো আমার কোনো বিরোধ নেই। আর হোসেনের সঙ্গে তো অনেক লোকের ঝামেলা রয়েছে। কে বা কারা তাদের মেরেছে এ ব্যাপারে তো আমি জানি না। তারা অযথা দোষারোপ করছেন।

ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে আইনি বা সামাজিকভাবে কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাভার ট্যানারি ফাঁড়ির এসআই আবদুল জলিল বলেন, হোসেনের লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর