বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
স্কুলে নিবন্ধিতদের চাকরি দাবি

শাহবাগে অনশন অবরোধ, পুলিশের লাঠিপেটা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শাহবাগে অনশন অবরোধ, পুলিশের লাঠিপেটা

রাজধানীর শাহবাগে গতকাল চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের একাংশ অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-এনটিআরসিএ নিবন্ধিত সনদধারীরা। গতকাল প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অবরোধ শেষে সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পর জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদফতরের সামনে এসে বসেন তারা। টানা ২০০ দিন ধরে সেখানে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এর আগে, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিন দফা দাবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদফতরের সামনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে   পদযাত্রা শুরু করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। কিন্তু শাহবাগ মোড়েই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় সামনে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আবেদনে সব নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রত্যাশীকে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে পুলিশের বাধা পেয়ে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ তাদের চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। অবরোধের কারণে কারওয়ান বাজার থেকে মৎস্যভবনমুখী রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মোড়ে অবস্থান নিয়ে ‘সনদ যার, চাকরি তার’, ‘প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ চাই’, ‘প্যানেল নিয়ে দুর্নীতি, মানি না মানব না’, ‘গণবিজ্ঞপ্তির নামে প্রহসন, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এ সময় এনটিআরসিএ নিবন্ধনধারী কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শাহবাগে সনদধারীদের চাকরি দাবিতে গণঅনশন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি প্রথম প্যানেল থেকে ক্রমানুসারে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তির নামে কোনো প্রহসন আমরা মেনে নেব না।

পরে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে শাহবাগ ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। নবম নিবন্ধনধারী  ও প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিন্দু দাস পান্ডে বলেন, ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে রমনা থানার এডিসি আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঁচ-ছয় মিনিট কথা হয়। এ সময় তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আশ্বাস পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে তারা আবারও আগের জায়গায় ফিরে আসেন। এদিকে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে কি না জানতে চাইলে প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, গণঅনশন আগের মতো চলবে। ২৯ বা ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে শাহবাগ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সামনে গণঅনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

সর্বশেষ খবর