শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান সীমিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান সীমিত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুব সীমিত। তারা মাঝেমধ্যে আমাদের যে সুপারিশ দেন, সেগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়, অলীক মনে হয়। বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো জানেন এ দেশের মানুষ।’ গতকাল সিলেট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ দেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এ দেশে নির্বাচনে ৭০-৮০ ভাগ লোক ভোট দেন। কিন্তু অনেক দেশে ২৫-৩০ ভাগ লোকও ভোট দেন না। নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ এ দেশে একেকটি পদে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর পরও তারা (বিদেশিরা) বড় বড় বকবক করেন। নিজের দিকে তাকান না কেন?’ এমন বাস্তবতায় মিডিয়াকে এ বিষয় নিয়ে হইচই না করার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ার কারণে বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছেন। আপনারা বিদেশিদের কাভার করা বন্ধ করুন। আপনারা কাভারেজ বন্ধ করলে তারা ঘরে বসে থাকবেন। আপনাদের কারণে তারা মজা পান। তারা নিজেদের এই দেশের রাজা মনে করেন।’ বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই দাবি করে মন্ত্রী বলেন, এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা ও ৪৫টি টেলিভিশন আছে। অনেক সাময়িকী আছে। আর কোথায় এমন আছে? কমিউনিটি ক্লিনিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে দেশে যে কত উন্নয়ন হচ্ছে তা আমরা টের পাচ্ছি না। কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ার ফলে দেশে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু অনেক কমে গেছে। আগে তা প্রায় ৮৬ শতাংশ ছিল। এর মধ্যে সিলেটে মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল। এগুলো অনেক কমে এসেছে।’ মতবিনিময় সভায় সিলেটে আরও সাতটি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমাদের মোট ২৪টি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক প্রয়োজন। আশা করছি দ্রুতই এগুলো পেয়ে যাব।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। আমরা দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছি। যেহেতু আমরা উন্নতি করছি তাই অনেকের চোখে পড়ছে। অনেকে ফায়দাও লুটতে চাইছেন। এখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু লোকজন চান না শান্তি হোক। কারণ অশান্তি হলে তাদের ব্যক্তিগত ফায়দা হয়। এজন্য বিভিন্ন লোকের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চান। অনেক বিরোধী দল দেশে উন্নতি চায় না বলে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তারা নিজের পা কেটে হলেও দেশের ক্ষতি করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর