তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেখতে পাচ্ছে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়ে ও হাত-পা মালিশ করে কোনো লাভ হয়নি। যারা ভরসা করেছিল তারাও দেখতে পাচ্ছে বিএনপির ওপর কোনো ভরসা নেই। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোলা ব্যাঙের মতো আওয়াজ তুলছে।
রবিবার নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছাবিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই মিডিয়ার ব্যাপ্তি ঘটলেও আমরা সবসময় দেখতে পাই গণমাধ্যমে আজকে যে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটি সঠিকভাবে প্রস্ফুটিত হয় না। কোনো খারাপ সংবাদ হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন ‘গুড নিউজ ইজ নো নিউজ, ব্যাড নিউজ ইজ গুড নিউজ,’ এটি সমীচিন নয় বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মিডিয়ার ওপর আক্রমণ। আমি মনে করি মিডিয়ার ওপর আক্রমণ করা সমীচিন নয়। মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড হতাশা থেকে এ কথাগুলো বলেছেন। আজকে বাংলাদেশে যেভাবে স্বস্তির ঈদযাত্রা হয়েছে, মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যে, এটি সত্যিই উদাহরণ। একটু অস্বস্তি ছিল গরমের কারণে। এই গরমের কারণে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়েছে কি না জানি না। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গাণিতিক বৃদ্ধি ঘটেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশে ৪৫০টি দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন ১ হাজার ২৬০টির বেশি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ’৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রাটাও শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। ২০০৯ সালে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৪৭টির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের অনেকেই সহসাই সম্প্রচারে আসবে। এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল সেগুলোয় জার্নালিজম থেকে পাস করে বের হওয়া ছেলেমেয়েদের চাকরির একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
