এবারের বাজেটকে খুবই বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, এবারের বাজেট অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাজেট দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দিকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি। বাজেটের মাধ্যমে এই গতি আরও বেগবান ও গতিময় হবে। গতকাল সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় রানি ভবানী স্কুল মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে পৌর মেয়র সিদ্দিক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ এতে মোটেও বিচলিত নয়। কোনো স্যাংশনই আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। যত ধরনের স্যাংশনই দেওয়া হোক, তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি অসংগতিপূর্ণ : ঢাবি উপাচার্য : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি অসংগতিপূর্ণ এবং এর মধ্যে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। এটির বাস্তবায়ন নীতি কেমন হবে সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা আছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (ইআরডিএফবি) এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমার ধারণা এই নীতির ফলে দুটি বিষয় ঘটবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হওয়ার টার্গেট নিয়েছে। সেই ভিশনকে যাতে কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নষ্ট না করতে পারে অথবা যে কোনো অপশক্তির উত্থান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ব্যত্যয় না করে সেক্ষেত্রে এই ভিসানীতি ভূমিকা রাখতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো- প্রধানমন্ত্রীর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। তিনি জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন। কোনোক্রমেই যেন স্বচ্ছতার ব্যত্যয় না ঘটে। অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫১ বছরের যে সম্পর্ক তাতে এই ভিসানীতি কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা দেখার বিষয় আছে। এতে তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতিতেও সমস্যা তৈরি হবে। আমরা স্বল্প মূল্যে রপ্তানি করি, অন্য দেশ থেকে আমদানিতে তাদের খরচ বাড়বে। ফলে আমরা যে রপ্তানি করি, তাতে তারাও বেশ লাভবান হচ্ছে। পৃথিবীতে বিশ্ব সরকার বলতে কিছু নেই যে, তারা এসে বলবে আপনারা এভাবে নির্বাচন করবেন।’
