তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে সংসদের বিরোধী দল ঠিক করা হয়। সেখানে বসে জাতীয় পার্টিকে আবারও বিরোধী দল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এটা ‘অসুস্থ রাজনীতির দৃষ্টান্ত’। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা একটি কেন্দ্রে জিতলেও সেটাই তৃণমূল বিএনপির বড় অর্জন।
গতকাল তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উত্তরণে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। শমসের মবিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খানের পরিচালনায় মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব রোকসানা আমিন সুরমা, কৃষক-শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. সিরাজুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্বাচনে যে কেন্দ্রে আপনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন কিংবা জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন সেখানে আপনি তৃণমূল বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেটাই হচ্ছে আমাদের বড় অর্জন, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে যারা শুধু একটি কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছেন আমি মনে করব সেটিও তৃণমূল বিএনপির বিজয়। শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে তৃণমূলের যেসব প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন, ঘোষিত ফলাফলের কথা বাদ দেন, যারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ছিলেন তারাও সুষ্ঠু রাজনীতির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। দেশের তরুণসমাজের অবস্থা বর্ণনা করে তিনি বলেন, সেদিন একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দেখলাম। একুশে বইমেলায় তরুণ-তরুণীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল-ভাষা আন্দোলন কত সালে হয়েছে? একজনও উত্তর দিতে পারেননি। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কেও বলতে পারেননি।