বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রতিটি গণহত্যার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছেন। গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দিনাজপুরে গুলিতে আহত আবদুর রশিদের শিশুকন্যা ও তার পরিবারকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ভয়ংকর দানবের পতনের মধ্য দিয়ে দেশ মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন বন্দুকের গুলিতে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে ক্ষমতায় থেকে যাবেন। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে ৮০০ জন গুম হয়েছেন, অসংখ্য নিহত হয়েছেন।
এর আগে দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকায় আবদুর রশিদ ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম রত্না এবং তাদের শিশুকন্যাদের খোঁজখবর নেন। এ সময় আহত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেন রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, আরিফুর রহমান তুষার, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহাম্মেদ কচি উপস্থিত ছিলেন। রিজভী দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির পাহাড়পুরস্থ বাসভবনে ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত বাবুর স্ত্রী শারমিনের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহত বাবুর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়। উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দিনাজপুর সদর হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুর রশিদ। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আবদুর রশিদ। চিকিৎসা করাতে তার সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সে শিশুকন্যাকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।