প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম সন্তান যাতে দীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারে এজন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম থেকে ১৫ দফা দাবির কথা জানানো হয়। ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, অতীতের রাষ্ট্র পরিচালকরা উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরও প্রমাণ করতে পারেননি সব উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিতরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি। এজন্য ৫৩ বছরের রাষ্ট্র পরিচালকরা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বট গাছ হয়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা আদর্শ নাগরিক গড়ার কারিগর। এ কারিগরদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কাজ করছে। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলিম সন্তান যাতে দীনি শিক্ষা অর্জন করতে পারে এজন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
পীর চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক কথা। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিতে চাই। এজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় তিনি ২০২৩-২৪ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত করে অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খানকে সভাপতি, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়াকে সহসভাপতি ও প্রভাষক আবদুস সবুরকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে প্রভাষক আবদুস সবুরের পরিচালনায় বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, মোকামিয়ার পীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, আইএবির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক ড. আরিফুল ইসলাম অপু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কামরুল আহসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শহিদুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিনসহ অনেকে।