পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গণছুটি আন্দোলনের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। গতকাল সচিবালয়ে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) চলমান আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা চাই তারা কাজে যোগদান করুক। যদি কাজে যোগদান না করে তাহলে ধরে নিতে হবে গোয়েন্দা তথ্য সঠিক।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। নতুন করে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সমিতি এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করার দাবি রয়েছে। বিষয়টির আইনগত ও বাস্তব দিক বিশ্লেষণ করবে কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারা দেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক তাদের আওতায়। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ ও শাস্তিমূলক বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
৭ সেপ্টেম্বর গণছুটি কর্মসূচি শুরু করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন। ওই দিন বিকালে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে। বিদ্যুৎ বিভাগের ওই নির্দেশনার পরও বিভিন্ন সমিতিতে গণছুটি কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।