শীতে এ সময় আপনার পায়ের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে হবে। খসখসে শুষ্ক ত্বকের উপরে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে গেলে কোনো লাভ হয় না। ত্বক ভেদ করে ময়েশ্চারাইজারের আর্দ্রতা গভীরে পৌঁছায় না। তাই আগে স্ক্রাব করে মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে হবে। কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে বসলে আরাম পাওয়া যায়। কিছু পরে এই পানির মধ্যে সামান্য শাওয়ার জেল বা শ্যাম্পু মেশান। তারপর পা ঘষে মৃত কোষ তুলে ফেলতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট হালকা গরম জলে পা ডুবিয়ে বসলে পায়ের ত্বক নরম হয়ে যায়। এরপর তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। মোছার সময়ে অবশ্য বেশি ঘষলে হবে না। আর একটা কাজ করতে পারেন। ওই ধরনের পানি থেকে পা তুলে নেওয়ার পর পা ভিজে থাকা অবস্থাতেই পায়ের উপর আলতো করে পিউমিক স্টোন ঘষতে পারেন। ফুট স্ক্রাব অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে কয়েক ফোঁটা মিন্ট বা টি ট্রি অয়েল দিতে পারেন। মিশ্রণটি দিয়ে পা স্ক্রাব করলে ভালো উপকার হয়।
এরপরে পা একটি পুষ্টিকর মাস্কে আবৃত করা জরুরি। এর জন্য একটি পাকা কলা লাগবে। লেবুর রসের সঙ্গে কলা মিশিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে এটা ধুয়ে ফেলতে হবে। পায়ের পাতা গোড়ালি আর্দ্র রাখার জন্য পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল বা ক্রিম লাগিয়ে এক জোড়া পুরনো মোজা পরে নিতে পারেন।
সূত্র : হেলথ জার্নাল।