কবজির ব্যথা নিয়ে অনেককেই চিকিৎসকের কাছে আসতে দেখা যায়। এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে এই ব্যথা হয়। রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অস্থরিতায় ঘুম ভেঙে যায়। কবজির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিসের মধ্যে অন্যতম। আমাদের কবজি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন থাকে, সেখানে যখন প্রদাহ হয় তখন এটিকে ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিস বলা হয়। সাধারণত মধ্য বয়স্ক নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন : আঘাতজনিত কারণ, হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, একটানা লেখালেখি করা, দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করা, ড্রিল মেশনি ব্যবহার করা।
রোগ নির্ণয় : সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এই রোগটি নির্ণয় করতে পারেন। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের কবজির এক্সরে ও রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়াও লাগতে পারে।
সতর্কতা : এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। হাতের কবজির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, যেমন- হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো যাবে না।
কাপড়চোপড় চিপা যাবে না। টিউবওয়েল চাপা যাবে না। একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি না করা। দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি না করা। ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা। কাজ করার সময় বিশেষ ধরনের ব্যান্ড ব্যবহার করা।
-ডা. এম. ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল।