উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলীর ভবন ও সবুজ-শ্যামল পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে। এসো গন্ধে বরণে, এসো গানে...’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলিতে এভাবেই প্রকাশ করেছেন তার মর্ম বাণী। সেই অমর বাণীগুলোই মনে করিয়ে দেয় পুরোনো অতীতের হাজারো অর্জনকে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এলে ডি-বক্সের সামনে কিংবা শহীদ মিনার চত্বরের সবুজ ঘাসে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় সেটাই মনে পড়বে। ডি-বক্সের সামনের শহীদ মিনার চত্বর আড্ডায় উঠে আসে দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, জীবনের স্বপ্নগুলো। এছাড়াও প্রেম-ভালোবাসা গল্প-আড্ডা তো থাকেই। আরও রয়েছে টিএসসি, আমবাগান চত্বরসহ কয়েকটি চত্বর। ক্যাম্পাসের আড্ডা শিক্ষার্থী জীবনের আনন্দের মুহূর্ত।
আতিক মাহমুদ, নুরুন নাহার, নিশা আক্তারসহ কয়েক শিক্ষার্থী জানায়, অবসরের আড্ডায় অনেকে খুঁজে পায় নতুন বন্ধু, কেউবা মনের মানুষ। আড্ডা অনেককে করে তোলে আত্মবিশ্বাসী। আড্ডা ছাড়াও অনেকে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় নিজের ক্যাম্পাসে ব্যস্ত থাকে। হাবিপ্রবির গ্রীন ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক ও হাবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের লেভেল-৪ এর শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, ‘অবসর সময় আমার কাছে শুধু বিশ্রামের নয় নিজেকে ও সমাজকে গড়ে তোলারও সময়। গ্রীন ভয়েস নামের পরিবেশবাদী যুব সংগঠনে সময় দিই। সেখানে আমরা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি, বৃক্ষরোপণ ও টেকসই জীবনধারার প্রসারে কাজ করি। এ সময়টুকু আমার কাছে খুব অর্থবহ কারণ এতে নিজের দায়িত্ববোধের পাশাপাশি সমাজের প্রতি ভালোবাসাও বেড়ে যায়।’ উল্লেখ্য, দিনাজপুর শহর থেকে ১০ কিমি উত্তরে এবং ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পশ্চিমে অবস্থিত ৮০ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এবং ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হাজী মোহাম্মদ দানেশের নামে এ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সবুজ শ্যামল বাংলার রূপ দেখতে হলে এখানে আসতে হবে। এই ক্যাম্পাসে ৯টি অনুষদের অধীনে ৪৫টি বিভাগে ২৩টি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।