গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ নাও ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এ লক্ষ্যে ব্রিটেনের তেমন তোড়জোড় নেই এবং প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কীভাবে তা করবেন এ ব্যাপারে তার [ক্যামেরন] কোনো ধারণা নেই জানিয়ে এ মন্তব্য বলেন তিনি। খবর এএফপির
গত সোমবার লন্ডনে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি। বৈঠকের একদিন পরই কেরির পক্ষ থেকে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ নিয়ে সংশয়ের কথা আসলো।
গত ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ব্রিটেনে ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে ৫১.৯ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউ ত্যাগের পক্ষে তাদের রায় দেন। অার ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮.১১ শতাংশ। গণভোটের প্রেক্ষিতে ব্রিটেনে নতুন করে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ আবার নতুন করে গণভোটের অাহ্বান জানিয়েছেন। গ্রেট ব্রিটেনের অংশ স্কটল্যান্ড গণভোটে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। ফলে গণভোটের পর তারা নতুন করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের কথা বিবেচনা করছে। ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা পেলেই তারা ই্ইউতে অন্তর্ভুক্ত হবে।
ইইউ থেকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসতে দুই বছর সময় লাগবে। সেই প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করার জন্য ই্ইউ'র শীর্ষ নেতৃত্ব ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ই্ইউর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তবে এক্ষেত্রে ক্যামেরন 'ক্ষমতাহীন' বলেও মন্তব্য করেন জন কেরি। ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এটা খুবই জটিল একটি বিচ্ছেদ।'
ইইউ ত্যাগের পথ থেকে বেরিয়ে আসার অনেক উপায় আছেও বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি। তিনি বলেন, 'সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে আমি এখনই উপায়গুলো খোলাসা করতে চাচ্ছি না। আমার এমনটা করা ভুল হবে বলে মনে করি। তবে এ থেকে উত্তরণের বেশ কিছু উপায় আছে।'
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন। গণভোটের পরপরই দেশটির বিভিন্ন মহল থেকে দাবির প্রেক্ষিতে একথা জানিয়েছেন।
এদিকে, ব্রিটেনের যত দ্রুত সম্ভব ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে আলোচনা ও সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত বলে ইইউর শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর, অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদসহ আরো কয়েকজন ইইউ'র নেতা ইতোমধ্যে ব্রিটেনের প্রতি এ লক্ষ্যে আহ্বান জানিয়েছেন। ইইউর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করার জন্য তা জরুরি বলে এসব নেতাদের মত।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জুন ২০১৬/শরীফ