বাংলাদেশের গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার পরই পশ্চিমবঙ্গ, অাসাম, ত্রিপুরাসহ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করল ভারত সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয় সূত্রে খবর মন্ত্রণালয়ের তরফে ইতোমধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-সহ অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলিকে সীমান্তে নজরদারির বাড়ানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অাসাম, মেঘালয়ের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফ’এর সঙ্গে যৌথভাবে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে আছে রাজ্য পুলিশও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর ঢাকার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির শীর্ষ কর্মকর্তাদের থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
ঢাকায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলির গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শপিং মল, রেস্তোঁরা, সরকারি ভবন, দর্শনীয় স্থানগুলিতে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশকে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেটিং। কলকাতা পুলিমের টহলদারি ভ্যান বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর এবং বাংলাদেশে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে দূতাবাসগুলিতেও। বিমানবন্দরে পাঁচ স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আগত এবং বাংলাদেশগামী বিমানযাত্রীদের ওপরও অতিরিক্ত নজর রাখা শুরু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোলেও দুই দেশের যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের জঙ্গি হামলার খবর প্রকাশের ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমগুলিকেও সংযত হওয়ার আর্জি জানিয়ে বলা হয়েছে এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনা প্রকাশে জঙ্গি দমনে সহায়তা করবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান বাংলাদেশকে আমারা (ভারত) একজন বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসাবেই বিবেচনা করে থাকি এবং সেদেশের প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গি দমনে তাদের সেরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ