গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে এই ট্রেনটি। কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে একমাত্র চলাচলকারী এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই একথা জানিয়েছে।
মৈত্রী এক্সপ্রেসই হল ভারতের মাটি থেকে ছাড়া একমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রেন, যেটি সরাসরি অন্য রাষ্ট্রে গিয়ে পৌঁছয়। ২০০৮ সালের এপ্রিল-এ যাত্রা শুরুর পর থেকেই এই ট্রেনটি কলকাতা (চিৎপুর) স্টেশন থেকে ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত এর যাত্রাপথ প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটার। ঢাকায় পৌঁছতে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘন্টা। অভিবাসন পরীক্ষার জন্য ভারতের গেদে এবং বাংলাদেশের দর্শনাতে একমাত্র এই ট্রেনটি দাঁড়ায়। ভারতীয় সীমানায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে পূর্ব রেল। ভারতের দিল্লি থেকে পাকিস্তানের লাহোরের মধ্যে সমঝোতা এক্সপ্রেস চলাচল করলেও ওই ট্রেনের যাত্রীদের পাঞ্জাবের আত্তারি স্টেশনে নেমে পাকিস্তানে যাওয়ার সময় ট্রেন বদলাতে হয়। সেদিক দিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেসের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। স্বাভাবিক ভাবেই জঙ্গিদেরও সফট টার্গেট এই মৈত্রী এক্সপ্রেস।
মৈত্রী এক্সপ্রেসের অর্থই হল বন্ধুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস। গোয়েন্দাদের ধারনা, জঙ্গিদের নিশানা হতে পারে মৈত্রী এক্সপ্রেসের মতো আন্তর্জাতিক ট্রেনটি। ঢাকায় জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন রেলের কর্মকর্তারা। এরপরই সাময়িক ভাবে এই ট্রেনটির চলাচল বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।