যুক্তরাষ্ট্রে ডালাসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ দুই ব্যক্তি নিহতের প্রতিবাদের মধ্যে ৫ পুলিশ সদস্যকে খুনের পর বন্দুকধারীকে হত্যায় ‘রোবট বোমা’ ব্যবহার করেছিল পুলিশ। তবে সামরিক এই কৌশল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। খবর রয়টার্সের।
গত বৃহস্পতিবার রাতে টেক্সাসের ডালাসে কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উঁচু ভবন থেকে গুলি চালিয়ে পাঁচ শ্বেতাঙ্গ পুলিশকে হত্যা করা হয়। পরে মিকাহ জেভিয়ার জনসন নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ বন্দুকধারীও নিহত হন। এর আগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ দুই ব্যক্তি নিহত হয়।
সাবেক সেনা সদস্য জনসন আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন।
যুদ্ধক্ষেত্রে রোবট ব্যবহারে কলাকৌশল নিয়ে আলোচিত বই ‘উইয়ার্ড ফর ওয়ার’ এর লেখক পিটার সিঙ্গার বলেছেন, “আগে সেনাবাহিনী ব্যবহার করলেও এটা পুলিশ প্রথম ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এই কৌশল ব্যবহারের কথা তিনি জানেন।
সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের এই কৌশল যুদ্ধক্ষেত্র নয়- এমন স্থানে প্রয়োগের বিষয়ে ডালাসের পুলিশ প্রধান ডেভিড ব্রাউনকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হলে তিনি বলেন, তাদের কাছে এর বিকল্প ছিল না।
জনসন যেখানে ছিলেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি ‘রোবট বোমা’ পাঠিয়ে দেয়, রোবটটি যথাস্থানে পৌঁছার পর দূর নিয়ন্ত্রকে মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যাতে জনসন মারা যান।
তিনি বলেন, “ঠিক ওই সময়ে আমরা কোনো উপায়ই পাচ্ছিলাম না, অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করতে গেলে বাহিনীর অনেক সদস্যকে প্রাণহানির ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া হত।”
তবে এটা এখনও স্পষ্ট নয়, ‘রোবট বোমা’ পাঠানোর আগে জনসনকে নিরস্ত্র করতে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছিল। স্পষ্ট নয় এটাই, প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই কৌশল পুলিশ কবে রপ্ত করল।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব