পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হিজবুল কম্যান্ডার আবদুল বুরহান ওয়ানি (২১) নিহত হওয়ার পর গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় জারি করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ওয়ানি।
কম বয়সেই উপত্যকার অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি হয়ে ওঠেন ওয়ানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় তরুণ জঙ্গির ডাকে সাড়া দিয়ে বহু কাশ্মীরি তরুণ জঙ্গি দলে যোগ দেয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছেও তিনি অন্যতম টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন। সেনাবাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় ছিলেন ওয়ানি। ওয়ানির ওপর ১০ লাখ রুপি আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল সরকার।
বেশ কয়েকমাস ধরেই কাশ্মীর উপত্যকা অশান্ত। নানা জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চরমপন্থীরা। তারওপর ওয়ানির নিহত হওয়ার পর গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর উপত্যাকা। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার উপত্যকায় হরতালের ডাক দিয়েছে হুরিয়ত কনফারেন্স। এই অবস্থায় কাশ্মীরের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মেহবুবা মুফতির সরকার। উত্তেজনার কথা মাথা রেখে পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, শোপিয়ান, বারামুল্লা ও শ্রীনগরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সতর্কতা হিসাবে কাশ্মীর উপতক্যায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওযাইজ ওমর ফারুক, মহম্মদ ইয়াসিন সহ অধিকাংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। বারামুল্লা থেকে বানিহাল পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবাও সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে অমরনাথ যাত্রা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ