হিজবুল মুজাহিদ্দিনের স্বঘোষিত কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯০ জনের অধিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। খবর এনডিটিভির।
শনিবার বুরহান ওয়ানির শেষকৃত্যকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়, নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। এতে শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মিরের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে স্থানীয়দের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায় বলে জানান সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এস এম সাহায়।
এদিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি আহতের সুস্থ কামনা করেছেন। এছাড়া কাশ্মীরের পুলিশের সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী
বিক্ষুব্ধ জনতা কুলগানের বিজেপি অফিসেও হামলা চালায়। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুতে শুক্রবার থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকা। শনিবার সেই উত্তাপ বেড়ে যায় আরও। এদিন কারফিউ উপেক্ষা করে হিজবুল নেতা বুরহানের মরদেহ নিয়ে রাস্তায় নামেন ৫০ হাজার মানুষ।
শুক্রবারই ওয়ানির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা শ্রীনগর-অনন্তনাগ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসন শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় কারফিউ জারি করে। রাজ্যের উত্তেজনা প্রবণ জায়গাগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্থগিত করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রাও।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সেনা ও জম্মু-কাশ্মির পুলিশের যৌথ অভিযানে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানিসহ তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। সম্প্রতি বুরহান ওয়ানি কাশ্মীরি জঙ্গিদের মুখপাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ২২ বছর বয়সী ওয়ানি হয়ে উঠেছিলেন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের স্বঘোষিত কমান্ডার। শুক্রবার গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা দক্ষিণ কাশ্মিরের কোকরনাগ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে বুরহানের সঙ্গে তার দুই সঙ্গীও নিহত হন। এর আগে রাজ্য সরকার বুরহানের মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লাখ রুপি।
বিডি-প্রতিদিন/১০ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব