কাশ্মীরের উরিতে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে টানা এক মাস ধরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে। এর পর দুইদিন আগে এক ভারতীয় সেনাকে পাক বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও চরমে উঠেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে পাক সেনার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
দীপাবলি উপলক্ষে রবিবার আত্তারি (ভারত)-ওয়াঘা (পাকিস্তান) সীমান্তে পাক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের তরফে যে গুলিবর্ষণ চলছে তারই প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত বলে বিএসএফ’র তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে, দীপাবলির মৌসুমে সীমান্তে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে কেরন সেক্টরে পাক সেনার গুলিবর্ষণের পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। শনিবার রাতেই পাকিস্তানের ৪টি সেনা আউটপোস্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।
শুক্রবার রাতে কাশ্মীরের মাচিল সেক্টরে দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ে নিহত হয় শিখ রেজিমেন্টের জওয়ান মনদীপ সিং। এরপর পাক সেনা ওই জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদ করে। এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার মধ্যে চরম ক্রোধ তৈরি হয়। ভারতীয় সেনার তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয় এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। তারই পাল্টা হিসাবে গতকাল রাতে মর্টার, ভারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে পাক সেনার আউটপোস্ট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অপরদিকে, নিহত জওয়ান মনদীপ সিংয়ের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে মনদীপের নৃশংস হত্যার বদলা হিসাবে ১০ পাকিস্তান সেনার মাথা চাই। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের আঁতেরি গ্রামের বাড়িতে মনদীপের মরদেহ পৌঁছানোর পরই তার স্ত্রী প্রেরণা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মনদীপের বাবা জানান এবার পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ-08