কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। খবর আজকালের।
শনিবার সকালে কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর প্রয়াণের খবর পেয়ে একটি বিবৃতি দেন জাস্টিন ট্রুডো। এতে তিনি বলেন, ‘কাস্ত্রো আর পাঁচজনের মতো নেহাত সাধারণ একজন নেতা ছিলেন না। প্রায় অর্ধ শতক ধরে দেশের মানু্ষের সেবা করেছেন। বিতর্কে জড়িয়েছেন বটে, কিন্তু দেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং একাগ্রতার কথা বিরোধীরাও অস্বীকার করতে পারবেন না। অসম্ভব ভাল নেতা ছিলেন। আমার বাবা তাকে বন্ধু ভাবতেন। বাবার মৃত্যুর পর একবার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। কিউবা গিয়ে তার তিন ছেলে এবং ভাই রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গেও দেখা হয়। সেই অভিজ্ঞতা ভোলার নয়।’
তবে, জাস্টিন ট্রুডোর এমন মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি কানাডাবাসী। তাকে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ইয়ান ব্রেমার। ‘কাস্ত্রোর চেয়ে দশগুণ ভাল নেতা প্রাপ্য কিউবাবাসীর।’ কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স–এর সদস্য ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, ‘স্বৈরচারী এবং দীর্ঘ মেয়াদি শাসকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে—তা বোঝেন না ট্রুডো। কড়া সমোলোচনা করেন মার্কিন সেনেটর মার্কো রুবিও। টুইটারে লেখেন, ‘বুঝতে পারছি না ট্রুডো নিছক মজা করছেন কিনা। তেমনটা না হলে, খুবই লজ্জাজনক।’
সমালোচনার মুখে পড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রুডো। বলেন, কেউ মারা গেলে তাকে শ্রদ্ধা জানানোই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, আমেরিকার সঙ্গে কিউবার বিরোধ থাকলেও, সেই উনিশ শতক থেকে কিউবার সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের উন্নতি হয়। ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার পর কানাডা এবং মেক্সিকো—পশ্চিম গোলার্ধের এই দু’টি দেশই শুধুমাত্র কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। প্রতিবছর কানাডা থেকে দলে দলে মানুষ কিউবা বেড়াতে যান। কিউবার মোট পর্যটক সংখ্যার ৪০ শতাংশই কানাডার মানুষ।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব