প্রতিবেশী নেপাল ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়ায় চিন্তিত ভারত। এই প্রথমবারের মত নেপালি সেনা ও চীনা সেনার মধ্যে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া মহড়া চলবে আগামী ১০দিন। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে সগরমাথা ফ্রেন্ডশিপ-২০১৭( Sagarmatha Friendship-2017)৷ এর একমাত্র লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
সগরমাথা মাউন্ট এভারেস্টের নেপালি নাম। এই নামটি বেছে নিয়েছে বেজিং। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ভারতকে বেগ দিতেই এই পন্থা চীনের। এতদিন পর্যন্ত নেপাল ভারত ও মার্কিন সেনার সঙ্গেই যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এদের বিপক্ষেই অবস্থান করে চীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বিদেশ সফরে প্রথম নেপালকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার সফরের পর কখনও সংবিধান সংকট ইস্যু ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে নেপালের রাজনীতি ছিল উত্তপ্ত। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর নেপালের ক্ষমতায় এসেছিল সিপিএন (ইউ এম এল)। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কে পি শর্মা ওলি। তার সরকারের চীন কূটনীতিতে চিন্তিত হয়েছিল নয়াদিল্লি। পরিস্থিতি এরপর বদলে যায়। নেপালের ক্ষমতায় ফের আসেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড (পুষ্প কুমার দাহাল)। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রচণ্ড প্রথম বিদেশ সফরে দিল্লি এসেছিলেন প্রচণ্ড। তারপরেই চীনের পক্ষে নেপালের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে বিশেষ জোর দেওয়া হতে থাকে। কূটনীতির সেই রেশ ধরে প্রথমবার চীনের সঙ্গে সামরিক মহড়া চালাবে নেপাল। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার