কোরিয়া উপদ্বীপ অভিমুখে রয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী। অন্যদিকে ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে টান টান উত্তেজনার মধ্যে ‘যে কোন সময় সংঘাত’ শুরুর আশঙ্কায় রয়েছে চীন। ‘যুদ্ধ বাধলে কোন পক্ষই জয়ী হতে পারবে না’ বলে সতর্ক করে দিয়েছে বেজিং। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই উত্তর কোরিয়া নিয়ে উত্তেজনা কমাতে চায় চীন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় বিষাক্ত সারিন গ্যাস হামলার পর পরই উত্তর কোরিয়ার একটি উপদ্বীপের দিকে নৌবহর পাঠিয়েছিল আমেরিকা। যার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকাকে পাল্টা হুমকি দিতে ছাড়েনি কোরীয় প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তাদের সরাসরি হুঁশিয়ারি, আমরা পরমাণু যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত। দেশটি ষষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষায় প্রস্তুত।
রবিবার উত্তর কোরিয়া দেশটির জাতীয় দিবস পালন করা হয়। সেখানে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের জন্যে তাঁদের বিশাল সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।
অন্যদিকে, চীন তার দোরগোড়ায় এমন সামরিক উত্তেজনা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েছে। যুদ্ধ বাধলে উত্তর কোরিয়া ভেঙে পড়বে এবং চীন সীমান্তে সংকট সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই উত্তেজনা কমাতে চিন শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলে কোনও পক্ষই জয়ী হবে না। তাঁর মতে, ‘একদিকে যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। আর যে কোনও মুহূর্তে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কায় আছে আরেক পক্ষ। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষরই অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।‘ ওয়াং বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকেই মৌখিক-প্রায়োগিক সব ধরনের উস্কানি দেওয়া কিংবা হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।’