আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আইএস জঙ্গিঘাঁটিতে ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একে বলা হয়েছে, ‘মাদার অফ অল বোম্বস’। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের কাছে রয়েছে আরও বড় বোমা, যার কোড নেইম ‘ফাদার অফ অল বোম্বস’।
এ যাবতকাল মার্কিন বাহিনী যত ধরনের বোমা (পরমাণু বোমা ছাড়া) ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে ‘মাদার অফ অল বোম্বস’ সবচেয়ে বড়। এর পুরো নাম ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বম্ব’ বা MOAB। লম্বায় এটি ৩০ ফুট বা ৯ মিটার। বিস্ফোরকে ঠাসা ৯ হাজার ৮০০ কেজি ওজনের এ বোমাটি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ইরাক যুদ্ধকে সামনে রেখে, যদিও সে যুদ্ধে এ বোমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। ভয়াবহতার দিক থেকেও এ বোমাটি ভয়ংকর। এক মাইল এলাকার মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর এটি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটি ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। ভূমিতে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এ বোমাটি, এমনকি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বা টানেলকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিতে পারে মূহুর্তের মধ্যেই। একেকটি এ ধরনের বোমা তৈরির জন্য ব্যয় হয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার।
তবে ভয়াবহতা এখানেই শেষ নয়! মাদার অফ অল বোম্বস এর বিপরীতে রাশিয়া বানিয়েছে ফাদার অফ অল বোম্বস। প্রযুক্তির ভাষায় একে বলা হচ্ছে থার্মোবারিক অস্ত্র যা দু পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। মাদার বোমার চেয়ে অন্তত চারগুণ বড় এই ফাদার বোমা যেখানে ফেলা হবে, তার আশেপাশের অন্তত ১ হাজার ফুট এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। ৪৪ টন টিএনটিতে ঠাসা এই থার্মোবারিক বোমা তৈরি হয়েছিল ২০০৭ সালে। বহুতলে ঠাসা কোনো এলাকায় এই বোমা ফেললে কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যাবে সবকিছু। এই বোমার বিশেষত্বই হল আর পাঁচটা সাধারণ বোমার চেয়ে এর গঠনটা আলাদা। বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে বিস্ফোরণের তীব্রতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এই বোমার রাসায়নিক উপাদান।