২৯,০২৯ ফুট উচু বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা একটি কষ্টসাধ্য কাজ; এতে প্রয়োজন অত্যাধিক শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা। এছাড়া অতি উচ্চতায় অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে সেজন্য বয়স বেশি বা শরীরে কোনো রোগ থাকলে এই আরোহণ প্রায় দুরুহ। তাই এভারেস্টে উঠতে বয়সসীমা বেঁধে দিতে চায় নেপাল। দেশটির পর্বতারোহণ বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারের বেশ কিছু মহল ইতোমধ্যে এই বিষয়ে সায় দিয়েছে।
নেপাল সরকার চিন্তা করছে, আইন প্রয়োজন। যেমন ১৬ বছরের নিচে এভারেস্টের চূড়ায় যাওয়ার অনুমতি মেলে না, তেমনি সবচেয়ে বেশি বয়স কত হতে পারে তাও নির্ণয় করা জরুরি।
দেশটির মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আং শেরিং বলেন, চূড়ায় ওঠার জন্য বয়সের সীমারেখা কত হওয়া উচিত এটা বের করা খুব জরুরি এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে একটি বিধিমালা দরকার। যদি একটা সীমা থাকে তবে মৃত্যুর ঝুঁকি আরও অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের সংগঠন থেকে চিন্তা করা হচ্ছে সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য, যেন সর্বোচ্চ বয়স অন্তত ৭৬ করা হয়।
সম্প্রতি চূড়ায় উঠতে গিয়ে মিন বাহাদুর শেরচানই (৮৫) মারা যান। এছাড়া ২০১১ সালে ৮২ বছর বয়সে শৈলেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তিও মৃত্যুবরণ করেন। এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নেপালী, একজন রয়েছেন বাংলাদেশি, যিনি মোহাম্মদ খালেদ হোসেন (সজল খালেদ)।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্ট জয়ের গৌরব জাপানের ম্যুরা ইউচিরোর। ৮০ বছর বয়সে ২০১৩ সালে এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন এই বৃদ্ধ। আর কম বয়সে পুরুষ হিসেবে জয়ের রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের জর্ডান রোমেরোর (১৩)। এছাড়া ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিশোরী পূর্ণা (১৩ বছর ১১ মাস) সবচেয়ে কম বয়সী নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পবর্ত শিখর এভারেস্ট জয় করার গৌরব অর্জন করেন।
বিডি প্রতিদিন/১০ মে ২০১৭/হিমেল