যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পারমাণবিক প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না ইরান। শিগগিরই ওমানের মাধ্যমে একটি পাল্টা প্রস্তাব পাঠানোর কথা ভাবছে দেশটি। তবে নতুন করে পারমাণবিক আলোচনা কবে শুরু হতে পারে সে বিষয়ে এখনো কোনো খবর নেই বলে জানানো হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে তারা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। কিন্তু বাস্তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এমন দ্বিমুখী আচরণ আমাদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যদি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (IAEA) আমাদের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার জবাবে আমরা সহযোগিতা আরও বাড়াব না, বরং আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে কঠোর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষোভ, ইউরোপের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ
ইরান শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থার সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতার নীতিতে অটল রয়েছে বলে দাবি করে বাঘাই বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে সংস্থাটি এখন তিনটি ইউরোপীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপে পড়েছে। তারা একটি তথাকথিত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যা এখন ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাসের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
আইএইএ’র প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করেই নতুন করে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাল্টা প্রস্তাবে ইরানের অবস্থান
ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, আগামী দুই দিনের মধ্যেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি লিখিত পাল্টা প্রস্তাব পাঠাবে। এই প্রস্তাবে তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জবাব দেবে। এর বিনিময়ে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে।
এ বিষয়ে অবহিত একটি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা হলে তারা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত থাকবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল