রাশিয়া পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষ্যাত করবেন বলে জানা গেছে। এই বৈঠকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তা হলো কুড়নকুলাম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরিতে মস্কোর সাহায্য। দু'টি প্ল্যান্ট তৈরিতে সাহায্য করার জন্য এদিন দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে চুক্তি হতে পারে।
এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে আরো একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেল, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি। তবে পরমাণু সংক্রান্ত ওই চুক্তিই হবে এই বৈঠকের মুখ্য বিষয়। দুটি প্ল্যান্টের প্রত্যেকটি ১০০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখবে। এতে ভারতের পরমাণু শক্তি অনেকটাই বাড়বে।
এর আগে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক হয় রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিনের। দুই দেশের একাধিক বিষয় উঠে এসেছিল ওই বৈঠকে। কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়। দুই নেতা নেত্রীই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার পক্ষে সম্মতি দেন। যার মধ্যে রয়েছে, পরমাণু শক্তি, সামরিক প্রযুক্তি, মনুষ্যচালিত মহাকাশযান ইত্যাদি। এছাড়া সামুদ্রিক খাবার, কৃষি , দুগ্ধজাত জিনিসের বাণিজ্যও হবে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। দুই দেশের যৌথ প্রয়াসে একটি ইন্দো রাশিয়ান রিসার্চ সেন্টার (CRCs) তৈরির ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিপর্যয় মোকাবেলা, টেলি মেডিসিন, জয়েন্ট ফিল্ম প্রোডাকশন, ভিসা সিস্টেমে গুরুত্ব দেয়া হবে। এমনকি আমদানি-রফতানির জন্য মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে একটি গ্রিন করিডর তৈরি হবে। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নেভিগেশন সিস্টেম Navic-Glonass মোতায়েন করার চিন্তা ভাবনা চলছে যাতে ট্রাফিক কন্ট্রোলের সুবিধা হয়। ভারত ও রাশিয়া তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপন করছে। সে উপলক্ষেই মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বরাজ ও রোগোজিন। তাই পুতিন ও মোদির এই বৈঠকও দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিডি-প্রতিদিন/১ জুন, ২০১৭/ওয়াসিফ