বৈবাহিক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হলে, স্বামীর বলপূর্বক মিলনকে ধর্ষণ বলা যাবে না।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ (২) ধারা অনুযায়ী, স্ত্রীর বয়স ১৫ বা তার চেয়ে বেশি হয়ে তবে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী জোর করে যৌনমিলন করতে পারে। সেটাকে কোনও অপরাধের মধ্যে ধরা হবে না।
এই ধারাটিকে সংশোধন করতে চেয়ে সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন জানিয়ে তারা দাবি করেন, ১৮ বছর বয়স না হলে মেয়েদের বিবাহ অপরাধযোগ্য ও বেআইনি। তাহলে ৩৭৫(২) ধারাটিতো একরকমভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়েকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম বি লোকুর এবং দীপক গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘সংসদে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে কিন্তু সংসদও মানতে বাধ্য হয়েছে যে বৈবাহিক ধর্ষণ আদৌও ধর্ষণ নয়। সেই কারণেই তাকে কোনওভাবেই শাস্তিমূলক অপরাধ বলা যাবে না।’
যদিও শীর্ষ আদালত আরও জানায়, ১৫ বছরের নীচে কোনও মেয়ের বিয়ে হলে তা অবশ্যই বেআইনি। কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর সঙ্গে যদি তার স্বামী বলপূর্বক যৌন মিলন করে তবে তার জন্য পকসো আইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী স্বামীকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
বিডি প্রতিদিন/ ১০ আগস্ট, ২০১৭/ তাফসীর