মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সাবেক সামরিক শাসক হোসনি মোবারকে পতনের পর তিনিই ছিলেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কাতারের কাছে মিশরের রাষ্ট্রীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন। যা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে পতিত করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুন মাসে এই মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যান তিনি। সেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বলা হয়েছে, ‘রায় চূড়ান্ত। আর রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা যাবে না।’ একই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। মিশরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২৫ বছর।
গত বছর এই আদালতেই তাঁকে ২০১২ সালে ইত্তিহাদেয়া প্রাসাদে নাশকতা চালানোর জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। ২০১১ সালে আরব বসন্তে গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান হোসনি মুবারক। ২০১২ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট হন মুরসি।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান