বিভিন্ন দেশ, জাতি, সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালবাসার রীতি ভিন্ন। নারী-পুরুষে বিয়ে করবে এটাই সঠিক আর স্বাভাবিক। তবে পুরুষে-পুরুষে কিংবা এক জন নারীর সঙ্গে আরও এক জন নারীর বিয়ে হতে গেলেই গোল বাধে। আইনি জটিলতায় পড়তে হয় সেই দু’টি মানুষকে।
তবে এবার অন্য পথে হাঁটা শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। সে দেশের পার্লামেন্টের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হয়ে গেল সমকামী বিবাহ বিল। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বহু দেশেই সমকামীর দু’টি মানুষের মধ্যে বিবাহ আইনি ভাবে বৈধতা পেয়েছে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন, কোন কোন দেশ রয়েছে সেই তালিকায়-
১। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে সমকামী বিবাহ আইনি ভাবে স্বীকৃতি পায়। নেদারল্যান্ডসই বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ, যেখানে সমকামী বিবাহ আইনত সিদ্ধ। এদেশে এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার সমকামী মানুষ বিয়ে সেরেছেন।
২। ১৯৭৫ সালে সমকামী কার্যকলাপ আইনি স্বীকৃতি পেয়েছিল বেলজিয়ামে। তবে বিয়ে নিয়ে স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০০৩ সাল পর্যন্ত।
৩। ২০০৫ সালে কানাডা এবং স্পেনে বিয়ে করে সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার স্বীকৃতি মেলে।
৪। ২০০৬ সালে ৩০ নভেম্বর প্রবল আন্দোলনের মুখে পড়ে অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় সমকামী বিবাহ বৈধতা অর্জন করে।
৫। ২০০৯ সালের ১ জানুযারি ছিল দিনটা। নরওয়েতে বসবাসকারী সমকামী মানুষের কাছে খবরটি এসেছিল বছরের প্রথম দিনটিতেই। আর মেক্সিকোতে স্বীকৃতি পেয়েছিল সেই বছরেরই নভেম্বরে।
৬। ২০১০ সালে আইল্যান্ড, পর্তুগাল এবং আর্জেন্তিনায় সমকামী বিবাহ স্বীকৃতি পেয়েছিল।
৭। ২০১২ সালের ১৫ জুন। ডেনমার্ক পার্লামেন্টে সমকামী বিবাহ বিল পাশ হয়।
৮। ২০১৩ সালে ফ্রান্স, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে পাশ হয় সমকামী বিবাহ বিল।
৯। লুক্সেমবার্গে সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি। একই বছরের ১৬ নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডে সমকামীর মানুষের মধ্যে বিয়ে বৈধতা পায়।
১০। ২০১৭ সালে সমকামী বিবাহ বিল পাশ হয় ফিনল্যান্ডে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর