ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ছড়িয়েছেন শুভমান গিল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে গিলের মোট সংগ্রহ ৭৫৪ রান, গড় ছিল প্রায় ৮৩.৭৮। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন হ্যারি ব্রুক। ৫৩.৪৪ গড়ে ৪৮১ রান করেছেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরার পুরষ্কার ভাগাভাগি করেছেন গিল ও ব্রুক।
যদিও পঞ্চম টেস্টের শেষ দিনের আগে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর সিরিজ সেরা হিসেবে ব্রুককেই বেছে নিয়েছিলেন। আর ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বেছে নিয়েছিলেন শুভমান গিলকে। যদিও মত বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন ইংলিশ এই কোচ। মোহাম্মদ সিরাজকে সিরিজ সেরার পুরস্কার দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচ সেরা বেছে নেয়ার এই বিষয়টি ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে খোলাসা করেছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার দীনেশ কার্তিক। তিনি বলেছেন, যদি ম্যাচটা গতকাল (চতুর্থ দিন) শেষ হতো, তাহলে শুভমান গিল হতেন সিরিজ সেরা, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম শুভমান গিলের নাম বলেছিলেন। আর মাইক আথারটন উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন। সব প্রশ্ন গিলের জন্যই প্রস্তুত ছিল।
সাধারণত সিরিজ শেষে দুই দলের প্রধান কোচ, ধারাভাষ্যকার বা টিভি উপস্থাপকদের একটি নির্দিষ্ট প্যানেল থাকে যারা পারফরম্যান্স, প্রভাব, ধারাবাহিকতা ও ম্যাচের ফলাফলে কার কতটা অবদান, এসব বিশ্লেষণ করে সিরিজ সেরা নির্বাচন করে থাকেন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ম্যাককালাম নিজের মতামত দিয়েছিলেন।
কার্তিক বলেন, ম্যাককালাম মাত্র আধা ঘণ্টা বা ৪০ মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাল্টে সিরাজকে সিরিজ সেরা হিসেবে বেছে নেন। তিনি স্কাই স্পোর্টসের পোস্ট-ম্যাচ আলোচনাতেও সিরাজকে নিয়ে কথা বলেন— তাকে দেখে কতটা উপভোগ করেছেন এবং কী দারুণ সব প্রশংসা করেছেন।
সিরিজ সেরা হিসেবে সিরাজকে বেছে নেয়ার পেছনে ম্যাককালামের যুক্তিও ছিল। কারণ সিরিজে ২৩ উইকেট নিয়ে সিরাজই হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। একজন পেস বোলারের মধ্যে যতটা স্পিরিট থাকা উচিত সব সিরাজের মধ্যে আছে বলেও উল্লেখ্য করেছিলেন তিনি।
ম্যাককালাম ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, তার মধ্যে একজন ফাস্ট বোলারের যে স্পিরিট থাকা উচিত, সেটি আছে। বল হাতে নেওয়ার প্রতিটি মুহূর্তেই তার মধ্যে উদ্দীপনা ছিল। বোঝা যাচ্ছিল এটা তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার করা স্পেলটা এমন, যা পুরো সিরিজের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে—এবং আজ সেটাই ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ