চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে বাগে পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের খেসারত গুনতে হয়েছে নিগার সুলতানাদের। নারী বিশ্বকাপে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে যদি হারাতে পারত নিগার বাহিনী, তাহলে সেমিফাইনালের আশা টিকে থাকত শতভাগ। ইংল্যান্ডের পর নিউজিল্যান্ডের কাছেও হেরেছেন নিগাররা। টানা দুই হারে কার্যত শেষ হয়ে গেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা!
তবে প্রথম মাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম টার্গেট পূরণ করেছে নিগার বাহিনী। বিশাখাপত্তনমে আজ সোমবার শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। প্রোটিয়া নারীরা প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিপর্যস্ত হয়েও পরের দুই ম্যাচে তুলে নিয়েছে সহজ জয়। হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে। দুই দল আজ বিশ্বকাপে নিজেদের চার নম্বর ম্যাচ খেলতে নামছে। সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকতে দুই দলেরই জয়ের বিকল্প নেই। ভারতের বিশাখাপত্তমে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দুই দলের খেলা।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ বার খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ৩ বার জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। বাকি ১৮টি ম্যাচে হেরেছে টাইগ্রেসরা। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে তারা।
নিগার বাহিনী প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে পাত্তাই দেয়নি। ব্যাটিং ও বোলিংয়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে হারায় ১১৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে। ম্যাচটিতে দারুণ বোলিং করেন মারুফা আক্তার। ইনিংসের প্রথম ওভারে টানা দুই বলে ইনসুইংয়ে পাকিস্তানের দুই ব্যাটারকে বোল্ড করে হইচই ফেলে দেন ক্রিকেট বিশ্বে। ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সোবহানা মুস্তারীর ৬০ রানে ভর করে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তারপরও মারুফা ও লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুনের দুরন্ত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিল নিগার বাহিনী। সেখান থেকে আম্পায়ারের সহায়তায় ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে জয়ী করেন হিদার নাইট।
তৃতীয় ওয়ানডেতে ভালো বোলিং করে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে ২২৭ রানে বেঁধে ফেলেন নিগাররা। ২২৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাজে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে দলের অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি বলছিলেন, অবশ্যই , এ ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দল হিসেবে সেটি পারেনি। বোলাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। আশা করি পরের ম্যাচেও ভালো করবে বোলাররা। পাশাপাশি ব্যাটারদেরও ভালো করতে হবে।
আট দলের বিশ্বকাপে আজকের পর আরও তিন খেলা বাকি বাংলাদেশের। নিগারদের পরের ম্যাচগুলো যথাক্রমে ১৬ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়া, ২০ অক্টোবর পাটিলে শ্রীলঙ্কা ও ২৬ অক্টোবর পাটিলে ভারতের বিপক্ষে। নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ২ নভেম্বর। সেমিফাইনাল দুইটি যথাক্রমে ২৯ ও ৩০ অক্টোবর।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ