দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই বিতর্কের কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান পেসার জেডন সিলস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিরস্কার করা হয়েছে, সঙ্গে কেটে নেওয়া হয়েছে ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ। শৃঙ্খলাভঙ্গের খাতায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
চলমান দিল্লি টেস্টের প্রথম দিনের ঘটনা এটি। ভারতের ইনিংসের ২৯তম ওভারে তিন চার হজমের পর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সিলস। তার ছোঁড়া বল লাগে জয়সওয়ালের প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চান সিলস। তাতে অবশ্য শাস্তি এড়াতে পারলেন না তিনি।
আইসিসির আচরণবিধির ২.৯ ধারা অনুযায়ী- আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন বিপজ্জনক বা অনুপযুক্তভাবে কোনও খেলোয়াড়ের দিকে বল কিংবা ক্রিকেট সরঞ্জাম ছুঁড়ে মারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের প্রস্তাবিত শাস্তির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন সিলস। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, রান আউটের চেষ্টায় বল ছুঁড়ে মেরেছিলেন। তবে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে রিপ্লে পর্যালোচনা করে পাইক্রফট সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, ওই থ্রো ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অনুপযুক্ত। কারণ ব্যাটসম্যান তখন ক্রিজের ভেতরে ছিলেন এবং বল সরাসরি গিয়ে লাগে তার প্যাডে।
২৪ মাসের মধ্যে সিলসের মোট ডিমেরিট পয়েন্ট হলো দুই। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশি পোশাক
দুই বছর সময়ের মধ্যে চার বা এর বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তা রূপ নেয় সাসপেনশন পয়েন্টে। কোনো ক্রিকেটার দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেলে, যে সংস্করণের খেলা আগে থাকে সে অনুযায়ী একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে কিংবা দুটি টি-টোয়েন্টি থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি।
ভারত সফরে দুই টেস্টের সিরিজে এখন ১-০ তে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আহমেদাবাদে প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ১৪০ রানে হারে তারা। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ