শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:২৯, সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ আপডেট: ১৮:১২, সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

২০২৫ সাল

এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে এফডিআই কমেছে ৬১ শতাংশ

লুইজিয়ানাভিত্তিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ টন সক্ষমতার একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি অ-বাধ্যতামূলক চুক্তি (নন-বাইন্ডিং এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় বাংলাদেশ প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে পারবে। যদিও আর্জেন্ট এলএনজি একটি গ্রীনফিল্ড প্রকল্প। এ প্রকল্প থেকে ২০৩০ সালের আগে কোনো গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। গ্যাস বিষয়ক ওই চুক্তিতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে ওই সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল।

জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর ফেব্রুয়ারিতে জাপান সফর করেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। টোকিও ও ওসাকায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিডার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ইনভেস্ট বাংলাদেশ রোড শো ২০২৫। এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে যোগ দিয়ে কাতারের দোহায় যান বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিল্প উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন।

জুলাইয়ে চৌধুরী আশিক চীনের সাংহাইয়ে বিডার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে বাংলাদেশ–চায়না ইনভেস্টমেন্ট সেমিনার ২০২৫–এ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল ও আইটি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ–মালয়েশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামে অংশ নেন আশিক মাহমুদ বিন হারুন। সেখানে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনার সুযোগ ব্যাখ্যা করেন তিনি।

সর্বশেষ ৬ অক্টোবর বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্ব কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ছয় দিনের সফরে তুরস্কে পৌঁছায়। সফরে আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি একাধিক জি–টু–বি পর্যায়ের সভায় অংশ নেন আশিক চৌধুরী।

নিয়োগ পাওয়ার পর গত এক বছরের বেশি সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সফরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তার চমকপ্রদ উপস্থাপনা ও আলোচনায় প্রায় প্রতিটি সফরেই একেকটি খাতের নতুন আঙ্গিক ও আকর্ষণ প্রকাশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডা, বেজা, মিডা ও পিপিপিএ–সংশ্লিষ্টরা। এতে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

তবে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশে কতটা এফডিআই আকৃষ্ট হবে, তা সময়সাপেক্ষ বলেই মত প্রকাশ করছেন বিনিয়োগ–সংশ্লিষ্টরা, যার প্রতিফলন রয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি বিনিয়োগ ও বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা সেলের (এফআইইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৩০ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৭৮ কোটি ৮২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ হিসাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন (ইকুইটি), পুনর্বিনিয়োগ (রিইনভেস্টেড আর্নিংস) ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ (ইন্ট্রাকোম্পানি লোন) সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এফডিআই প্রবাহের হিসাব প্রকাশ করে। এ তিন উপখাতের সব ক’টিতেই এফডিআই প্রবাহ কমেছে।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের সঙ্গে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের এফডিআই প্রবাহের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিট এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের পুনর্বিনিয়োগ, যা এই এক বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে বেড়েছে ৫৯৫ শতাংশের বেশি। একই সময়ে মূলধন বা ইকুইটি কমেছে ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ইকুইটি বা নতুন মূলধন কিংবা পুঁজি বিনিয়োগ কমেছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এফডিআই প্রবাহ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ হ্রাস প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিডার মুখপাত্র ও হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, “২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য পরিবেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা, রেড সি ও পানামা খালে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন এবং বিভিন্ন দেশে রপ্তানিমুখী ভর্তুকি ও শুল্কনীতির পরিবর্তন—এসব কারণে বৈশ্বিকভাবে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি নতুন দেশীয় বা বৈশ্বিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থগিত বা পুনর্মূল্যায়ন করেছে। ফলে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয়, বিশেষ করে গ্রীনফিল্ড ইকুইটি বিনিয়োগে একটি সাময়িক মন্দা দেখা গেছে।”

সিজনাল বা মৌসুমি প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে নাহিয়ান রহমান আরও বলেন, “অনেক সময় বছরের প্রথম প্রান্তিকে নির্দিষ্ট প্রকল্পে এককালীন বড় অঙ্কের ইকুইটি বা ঋণ আসতে পারে, যা পরবর্তী প্রান্তিকে তুলনামূলকভাবে কম দেখায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমে যাওয়াটা একটি স্বাভাবিক ‘সিজনালিটি ইমপ্যাক্ট’। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের এপ্রিল–জুনেও এ সিজনালিটির প্রভাবে মোট বিনিয়োগ কমেছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ।”

উপরন্তু এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকের হ্রাসের হার তুলনামূলক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

২০২৪–এর এপ্রিল–জুনের তুলনায় ২০২৫–এর একই প্রান্তিকে মোট বিনিয়োগ ১১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাওয়াকে একটি ভালো খবর জানিয়ে নাহিয়ান রহমান বলেন, “এ বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হলো রিইনভেস্টেড আর্নিংস, অর্থাৎ যারা এরই মধ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে, তারা তাদের আয় পুনরায় বাংলাদেশেই বিনিয়োগ করেছে। বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী এবং তারা মুনাফা তুলতে না গিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করছেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। ইকুইটি এফডিআই ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক এ চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে বিডা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩২টি সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। যেমন নিয়ন্ত্রক জটিলতা ও নথিপত্রের দীর্ঘসূত্রতা, মুদ্রা বিনিময় ও লভ্যাংশ প্রেরণ–সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা ইত্যাদি।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ–জ্বালানি খাতে সমস্যার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের এফডিআই প্রবাহে। গত বছরের এপ্রিল–জুন প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের একই প্রান্তিকে রিইনভেস্টেড আর্নিংস বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক পর্যন্তও দেশে ডলারের সংকট বেশ তীব্র ছিল। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। তার পরও চলতি বছর বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মুনাফার একটি অংশ প্রত্যাবাসন না করে সেটি চলতি মূলধনসহ ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যয় করে থাকতে পারে। তাছাড়া ব্যবসার খরচ বাড়ার কারণেও কোম্পানিগুলোর ব্যয় বেড়েছে। সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে চলতি মূলধনের অর্থ না নিয়ে মুনাফার অর্থ কাজে লাগিয়ে থাকতে পারে। এসব কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর এফডিআই–এর পরিসংখ্যানে রিইনভেস্টেড আর্নিংসের পরিমাণ বেশি দেখা যাচ্ছে।

জাপান–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন) গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের প্রতি জাপান ও অন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এখনো আছে। তারা কিছুটা ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ মনোভাবের মধ্যে রয়েছে। একটা স্থিতিশীল সরকার এলে তারা আরও বিনিয়োগ করবে। এ মুহূর্তে যারা বিনিয়োগ করছে, যেমন চীনা কোম্পানি, তারা ট্যারিফ ইত্যাদির কারণে হয়তো এখনই বিনিয়োগ করছে। কিন্তু যারা অপেক্ষা করতে পারছে, তারা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে। যার প্রতিফলন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বলে আমি মনে করি। সম্প্রতি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাপানে ঘুরে এসেছি। টোকিও, ওসাকা—দুই জায়গায়ই ১০০ জনেরও বেশি বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণে বড় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সময় বিনিয়োগকারীদের যথেষ্ট আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। আসলে বিনিয়োগকারী যে দেশেরই হোক, তারা নীতির স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। বর্তমান সরকার যেহেতু অন্তর্বর্তী, তাই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগের জন্য তারা স্থিতিশীলতাটাই চায়।”

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা দেখছেন বাংলাদেশে তাদের লগ্নি করা অর্থ নিরাপদ ও সুরক্ষিত কিনা। যা লগ্নি হয়েছে, সেই লগ্নি ফিরে আসবে কিনা। ২০২৪ সালের আগেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের আগ্রহ বাস্তবায়নে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছিল কিছু প্রতিষ্ঠানকে। একটা পর্যায়ে গত সরকারকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের আভাসও দেওয়া হয়েছিল। কর, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাসহ সার্বিক ব্যবসার পরিবেশের সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনো কাটেনি বা ক্ষেত্রবিশেষে রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তারা। মোটা দাগে প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

বাংলাদেশ–মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সাব্বির এ খান গণমাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ মালয়েশিয়া। রবি ও ইডটকো—এরাই বড় বিনিয়োগকারী। এ দুই প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সাল থেকে বিনিয়োগের জন্য তহবিল প্রস্তুত করে রেখেছে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে তারা অপেক্ষা করছে বিনিয়োগ পরিবেশ পর্যবেক্ষণে। যখন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন, তখন দেশটির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগের মুভমেন্ট এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমি মনে করছি, তারা অপেক্ষায় আছে—এটাই মূল কারণ। তারা অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের অপেক্ষায় আছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এফডিআই বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশে আমূল সংস্কার প্রয়োজন। প্রথমত, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে (এসইজেড) দ্রুত কার্যকর ও পূর্ণরূপে চালু করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা নির্ধারিত সুবিধা ও অবকাঠামো পায়। দ্বিতীয়ত, বাণিজ্য নীতির উদারীকরণ প্রয়োজন, বিশেষ করে আমদানি–রপ্তানির প্রক্রিয়ায় শুল্ক, বাধা এবং অনুমোদন নীতি সরলীকরণ করতে হবে। তৃতীয়ত, ডিরেগুলেশন বা অতিরিক্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করে একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি কর কাঠামোয় স্বচ্ছতা, চুক্তি বাস্তবায়নে দ্রুততা এবং নীতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত অবকাঠামো, দক্ষ শ্রমশক্তি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ বাড়িয়ে বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যে পরিণত করতে পারলেই এফডিআই প্রবাহ আবারও গতিশীল করা সম্ভব হবে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)–এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান গণমাধ্যমকে বলেন, “চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) এফডিআই প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে। এটি একটি গুরুতর সংকেত, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ ও সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের পতন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের পথকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি স্পষ্ট করছে যে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে নতুন করে বিনিয়োগ করতে অনিচ্ছুক বা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। যদিও আগের অর্থবছরের এপ্রিল–জুন সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে এফডিআই ১১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু এ প্রবৃদ্ধির প্রধান উৎস পুনর্বিনিয়োগ।”

নতুন ইকুইটি বিনিয়োগ কমে গেছে ৬২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা উদ্বেগজনক—উল্লেখ করে সেলিম রায়হান বলেন, “এটি ইঙ্গিত করে যে পূর্ববর্তী বিনিয়োগকারীরা আংশিক আস্থা রাখলেও নতুন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ ব্যর্থ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শুধু নীতিগত নয়, কাঠামোগত সংস্কারও জরুরি। বাংলাদেশে এখনো অনেক প্রক্রিয়া জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং অদক্ষ, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে।”

শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই নন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, দেশের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বল অবস্থা, চাঁদাবাজি, প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানাবিধ কারণে বড় ধরনের বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না স্থানীয় উদ্যোক্তারাও। তারা বলছেন, সবকিছুর টেকসই সমাধান হবে এমন উচ্চাশা না থাকলেও বিনিয়োগের জন্য তারা নির্বাচনের দিকেই তাকিয়ে আছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন হতে এখনো প্রায় চার মাস বাকি। এ সময়ের মধ্যে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা কাটার কোনো আশা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখভাল করা সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটির সভাপতি জাভেদ আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এফডিআই হ্রাসের খবর আমাদের সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। এটি আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সংকেত। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারি নীতিগুলোর আরও স্বচ্ছতা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ প্রবণতা পাল্টানো সম্ভব। এফআইসিসিআই বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করে এ লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে প্রস্তুত, যাতে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে ওঠে।”

সূত্র: বণিক বার্তা

বিডি প্রতিদিন/আশিক

টপিক

এই বিভাগের আরও খবর
যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে এক ভরি স্বর্ণ
সবজির স্বস্তি পেঁয়াজে ম্লান
সবজির স্বস্তি পেঁয়াজে ম্লান
আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি
আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত
শেয়ারবাজারে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে
আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর
দেশের বাজারের ৬০ শতাংশ মোবাইল অবৈধ
দেশের বাজারের ৬০ শতাংশ মোবাইল অবৈধ
সূচক কমলেও পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
অক্টোবরে কমেছে মূল্যস্ফীতি
অক্টোবরে কমেছে মূল্যস্ফীতি
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর
নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬১ মিলিয়ন ডলার
নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬১ মিলিয়ন ডলার
সর্বশেষ খবর
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা দেশের জন্য ছিল টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা দেশের জন্য ছিল টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

২৯ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
চট্টগ্রাম বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিরস্থায়ী সুখের আবাস জান্নাত
চিরস্থায়ী সুখের আবাস জান্নাত

৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

সরকার না পারলেও বিএনপি নির্বাচনের আবহ তৈরি করতে পেরেছে : জিল্লুর রহমান
সরকার না পারলেও বিএনপি নির্বাচনের আবহ তৈরি করতে পেরেছে : জিল্লুর রহমান

৪ মিনিট আগে | টক শো

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনে এগিয়ে যারা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটনে এগিয়ে যারা

৬ মিনিট আগে | পর্যটন

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গিয়ে বিপদে অ্যাঞ্জেলিনা
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গিয়ে বিপদে অ্যাঞ্জেলিনা

২৬ মিনিট আগে | শোবিজ

নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংগীতের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়, পর্দায় ফিরছেন মাইকেল জ্যাকসন
সংগীতের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়, পর্দায় ফিরছেন মাইকেল জ্যাকসন

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ওয়ানডে দলে ফিরলেন হেনরি, নেই উইলিয়ামসন
ওয়ানডে দলে ফিরলেন হেনরি, নেই উইলিয়ামসন

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

৭ নভেম্বর বিপ্লবের মহানায়কে পরিণত হন জিয়াউর রহমান : মির্জা ফখরুল
৭ নভেম্বর বিপ্লবের মহানায়কে পরিণত হন জিয়াউর রহমান : মির্জা ফখরুল

৪৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর

৪৬ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ছেলের পরিচালনায় সিনেমায় শাহরুখ, কবে দেখা যাবে
ছেলের পরিচালনায় সিনেমায় শাহরুখ, কবে দেখা যাবে

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

মারি ক্যুরির জন্মদিন আজ
মারি ক্যুরির জন্মদিন আজ

৫৮ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

জিয়াউর রহমানের মাজারে সর্বস্তরের জনতার ঢল
জিয়াউর রহমানের মাজারে সর্বস্তরের জনতার ঢল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরাইলে ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
সরাইলে ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুবাই গ্রিন বাংলা ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন ড্রাগন ওয়ারিয়াস
দুবাই গ্রিন বাংলা ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন ড্রাগন ওয়ারিয়াস

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ: আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে মেসি, নেই মার্তিনেজ
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ: আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে মেসি, নেই মার্তিনেজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসি শতভাগ প্রস্তুত : ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
ইসি শতভাগ প্রস্তুত : ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রামগতিতে ১৫ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই
রামগতিতে ১৫ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাতে কাজ নেই, অভিনেতা এখন মুদিদোকানি
হাতে কাজ নেই, অভিনেতা এখন মুদিদোকানি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকাকে ৬ বছরের শিক্ষার্থীর গুলি, কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছুটির দিনে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক
ছুটির দিনে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নরমাল ডেলিভারির জন্য যেসব আমল করা যেতে পারে
নরমাল ডেলিভারির জন্য যেসব আমল করা যেতে পারে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এবার ডাকসু নির্বাচনে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা
এবার ডাকসু নির্বাচনে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়াকে তিন শর্ত শিথিল করতে চিঠি দিল বাংলাদেশ
মালয়েশিয়াকে তিন শর্ত শিথিল করতে চিঠি দিল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার
১১ তারিখ পর্যন্ত আলটিমেটাম, না মানলে ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে: গোলাম পরওয়ার

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?
ফাশারের কসাই কে এই আবু লুলু?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা
দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও হেলিকপ্টারে এসে গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা

১৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন
জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি
বিপিএলের পাঁচ দলের নাম ঘোষণা করল বিসিবি

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকে নির্বাচন করতে বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’
‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু
৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল
তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করুন: মির্জা ফখরুল

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির
ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়
ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: নিপুণ রায়

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী
ভোটাধিকারের সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: নবীউল্লাহ নবী

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব এলাকায় ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি
স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৫ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ
২৫ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের
আফগানিস্তানে ফের গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালে ৫ বছর কারাদণ্ড , ৯৯ কোটি টাকা জরিমানা
ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালে ৫ বছর কারাদণ্ড , ৯৯ কোটি টাকা জরিমানা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের জয়জয়কার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ
প্রথম দফায় রক্ষা দ্বিতীয় দফায় লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও
উদ্ধার হয়নি ১ টাকাও

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক
মেলেনি অনুমতি আসছেন না ডা. জাকির নায়েক

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে
টাকার লোভেই মৃত্যুকূপে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে
সংবিধান সংস্কার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়
বার্সা চেলসির বড় ধাক্কা, সিটির জয়

মাঠে ময়দানে

জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব
জামায়াতের হুঁশিয়ারি প্রয়োজনে আঙুল বাঁকা করব

প্রথম পৃষ্ঠা

সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক
সওজ-সিসিক দ্বন্দ্বে বেহাল সড়ক

নগর জীবন

ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি
ত্যাগ সংগ্রাম আর আস্থার পুরস্কার পেয়েছি

পেছনের পৃষ্ঠা

সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে
সুয়াটেককে হারিয়ে সেমিফাইনালে

মাঠে ময়দানে

বিখ্যাত যত ফোক গান
বিখ্যাত যত ফোক গান

শোবিজ

আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়
১০ নভেম্বর আসছেন ঢাকায়

মাঠে ময়দানে

কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই
কেমন হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই

মাঠে ময়দানে

‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল
‘পেয়ার কিয়াতো ডরনা কেয়া’ গানটি ১০৫ বার লেখা হয়েছিল

শোবিজ

মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’
মাল্টিপ্লেক্সে ‘হুমায়ূন আহমেদ সপ্তাহ’

শোবিজ

চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’
চলচ্চিত্র ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’

শোবিজ

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন
লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্না জামিন পেলেন

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে

গোল উৎসব
গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা

সাহিত্য

ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা
ডেঙ্গুতে ভুগছে শিশুরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘ইশারা’

শোবিজ

শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শিশু-কিশোররা চালাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার
নির্বাচনে বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষক চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

খোকন সোনা
খোকন সোনা

ডাংগুলি