বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে ‘পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা আয়োজন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখার সদস্যরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া।
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভোলা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. জিহাদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা শাখার হিসাবরক্ষক মতিউর রহমান মুন্না, বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মীর আবিদ হোসেন রাফি, কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক ইসরাত জাহান নুহা, বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি তাযকিয়া ইনসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রায়হান, নারী বিষয়ক সম্পাদক বিবি ফাতেমা, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক জিহাদ, কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহমানসহ বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করা বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো পরিবেশ দূষণ। বাংলাদেশেও মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটে থাকে। দেশে প্রতিদিন মানুষ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন করে থাকে। কিন্তু দেশে এসব বর্জ্য পদার্থের তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ জন্য করণীয় নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে ভোলা সদর উপজেলা শাখায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা শাখার সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া বলেন, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ মোতাবেক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার জন্য জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়। জেলা ও উপজেলায় অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল ও পৌরসভার বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা করার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সাধারণ জনসাধারণের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভোলার বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যবহার বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি জেলা প্রশাসক সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ভোলা জেলা প্রশাসককে পত্র প্রদান করে অনুরোধ জানানো হয়। এসডিজি বাস্তবায়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ভেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের আয়েজনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি ভোলা জেলার জনসাধারণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর,ভোলা জেলা কাজ করে যাচ্ছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরাও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এজন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখাকে ধন্যবাদ জানাই।’
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. জিহাদ বলেন, পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপাদানের কথা চিন্তা করতে গেলেই যেগুলো সবার আগে আমাদের সামনে চলে আসে তা হলো মাটি, পানি ও বায়ু। কিন্তু পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসব উপাদান বর্জ্য পদার্থের ফলে আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এজন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে ভোলা সদরে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ভোলা সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি তাযকিয়া ইনসান বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যে শুধু সরকার একাই নিয়ন্ত্রণ করবে তা নয়, যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভোলা সদরে বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
ভবিষ্যতেও ভোলা সদরে বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল