তিস্তার হাওয়ায় বইয়ের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছিল সেদিন বিকেলে। গংগাচড়া উপজেলা মাঠে বসেছিল এক অন্যরকম আয়োজন-বই, পাঠক আর গল্পের মিলনে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানের উৎসবমুখর পরিবেশ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ গংগাচড়া উপজেলা শাখার ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত এ পাঠ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রবিন্দু ছিল কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘নূরজাহান’, ‘কালপুরুষ’ ও ‘জীবন থেকে নেওয়া’।
তরুণ পাঠকরা বই হাতে মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন গল্পের জাদুতে, কেউ আবার পাতা উল্টে বন্ধুদের শুনিয়ে যাচ্ছিলেন সংলাপ। মাঠজুড়ে নেমে এসেছিল নীরব মুগ্ধতা-যেন গল্পের মধ্য দিয়েই মানুষ খুঁজে পাচ্ছে বেঁচে থাকার নতুন অর্থ।
সেখানে উপস্থিত পাঠকরা বলেন, বই শুধু জ্ঞান নয়, এটি মানুষ হয়ে ওঠার পথ দেখায়। একজন প্রবীণ পাঠক জানান, মিলনের গল্প একসময় তাদের কাঁদিয়েছে, আজ সেই অনুভূতি আবার ফিরেছে গ্রামের জীবনে।
শুভসংঘের সদস্যরা জানান, ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার এখন থেকে নিয়মিতভাবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যাবে। স্কুল, চা-স্টল, কৃষকের উঠান কিংবা তিস্তাপাড়ের চর- যেখানেই মানুষ, সেখানেই বই পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য তাদের।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে বইয়ের পাতার ঘ্রাণ আর একটাই স্লোগান ভেসে বেড়াচ্ছিল-‘বই পড়, মানুষ হও’। ইমদাদুল হক মিলনের লেখাকে ঘিরে সেই বিকেলের আয়োজন হয়ে উঠেছিল সত্যিকারের এক স্বপ্নযাত্রা, যেখানে তরুণেরা শিখেছে- কেবল বই-ই পারে মানুষকে আলোকিত করতে, সমাজকে বদলে দিতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গংগাচড়া উপজেলা শাখার সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক আলপনা ঋতু, সহ-সভাপতি তুহিন ইসলাম, সদস্য নাজিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মোছা. তানিশা আক্তার, জুই আক্তার, রুমানা আক্তার, সুমি আক্তার, সোমা আক্তার, কালেরকণ্ঠের গংগাচড়ার ফটোগ্রাফার আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া