ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট। কোনো নারী যদি অন্য কোনো ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করেন, তাহলে বিয়ের পর ওই নারীকে স্বামীর ধর্ম গ্রহণ করাটা বাধ্যতামূলক নয়।
এক পার্সি মহিলার অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করা নিয়ে আইনি জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এমন রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট।
ভারতের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, কোনও পার্সি মহিলা যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষকে বিয়ে করেন, তাহলে তিনি আর পার্সি ধর্মাবলম্বী থাকবেন না। এমনকী, ওই মহিলার বাবারও যদি মৃত্যু হয়, তাহলে তিনি শেষকৃত্যে হাজির থাকতে পারবেন না। গুলরখ এম গুপ্ত নামে এক পার্সি মহিলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করার পরেও বাবা-মার শেষকৃত্যে হাজির থাকার অধিকার চেয়েছিলেন। ২০১০ সালে গুজরাত হাইকোর্ট পার্সিদের এই আইন বহাল রাখে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন গুলরখ।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ কে সিক্রি, বিচারপতি এ এম খানবিলকর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অশোক ভূষণের এক যৌথ বেঞ্চ জানিয়েছেন, আইনে কোথাও এমন বলা নেই, একজন মহিলা অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করলে তার ধর্মীয় পরিচয় হারাবেন।
স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বলা হয়েছে, দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বিয়ে করে নিজেদের ধর্ম বজায় রাখতে পারেন। একজন পুরুষ যদি অন্য ধর্মের মহিলাকে বিয়ে করে নিজের ধর্মীয় পরিচয় বজায় রাখতে পারেন, তাহলে একজন মহিলাকে কীভাবে অন্য ধর্মের পুরুষকে বিয়ে করে নিজের ধর্ম বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া যায়?
ভালসাদ পার্সি ট্রাস্টের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যমকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, গুলরখ তার বাবা-মার শেষকৃত্যে হাজির থাকতে পারবেন কি না, সেটা ১৪ তারিখ জানাতে হবে। সূত্র: এবিপি আনন্দ।
বিডি প্রতিদিন/০৯ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত