ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর পাকিস্তান আরও আগ্রাসী হয়েছে বলে জানালেন ভারতের বিএসএফ ডিরেক্টর জেনারেল কে কে শর্মা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএসএফ হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংয়ের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে কে কে শর্মা বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই।
কে কে শর্মার অভিযোগ, সীমান্তে কোন পরিবর্তন আসেনি। পাকিস্তান সেনার গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাকিস্তান এখন নতুন নীতি নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে। এর মোক্ষম জবাব দ্রুত পাবে পাকিস্তান।
বিএসএফ কর্মকর্তার সুরেই ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে যাবে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সেনা। সেনাদের এই দুঃসাহসিক অভিযানকে স্মরণ করে ভারতজুড়ে পালিত করা হচ্ছে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস’।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরই ইমরান খান সন্ত্রাস এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জানিয়েছিল, ভারত যদি এক পা এগোয়, দু’পা এগুবে পাকিস্তান। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের অনুষ্ঠানের ফাঁকে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা হয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধেই সেই বৈঠকের সাড়া দিয়েছিল ভারত।
কিন্তু কাশ্মীরে সেনাদের নারকীয় হত্যা এবং জঙ্গি বুরহান ওয়ানির নামে ডাক টিকিট প্রকাশ করে ‘গৌরবান্বিত’ করায় পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক তড়িঘড়ি বাতিল করে মোদি সরকার। বৈঠক বাতিল হওয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনায় নামে পাকিস্তান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর