ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসের ভেতরেই যে জামাল খাশোগি নিহত হয়েছেন তা স্বীকার করে নিয়ে শনিবার একটি বিবৃতি দিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন একজন ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে যে সর্বশেষ ভাষ্য দিয়েছেন, তা আগের বিবৃতির সাথে মিলছে না।
সৌদি আরবের আগের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, জামাল খাশোগি সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পরপরই সেখানে উপস্থিত সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে তার হাতাহাতি শুরু হয়। সে সময় পেছন থেকে গলার ওপর দিয়ে হাত জাপটে ধরে নিরস্ত্র করার সময় তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। কিন্তু ঊর্ধ্বতন একজন সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে যে ভাষ্য এখন জানিয়েছেন তা একটু ভিন্ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তার বর্ণনা অনুযায়ী, যে ১৫ সদস্যের দল সৌদি আরব থেকে গিয়েছিল, তারা জামাল খাশোগিকে ওষুধ দিয়ে অচেতন করে অপহরণের হুমকি দেয়। কিন্তু খাশোগি তাতে বাধা দিলে তখন তাকে জাপট ধরলে তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর এই সৌদি দলের একজন সদস্য জামাল খাশোগির কাপড় খুলে তা পরেন এবং কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভান করেন যেন মনে হয় জামাল খাসোগজি আসলেই বেরিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে জামাল খাশোজির ঘটনা সম্পর্কে সৌদি ভাষ্য বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হলো।
সৌদি আরব প্রথমে জোর গলায় এই খবর অস্বীকার করেছিল যে কনস্যুলেটের ভেতর থেকে জামাল খাশোগি নিখোঁজ হয়েছেন। তারা দাবি করেছিলেন খাশোগি কনস্যুলেট ভবন থেকে বেরিয়ে যান।
ঘটনার ১৮ দিন পর সৌদি আরব স্বীকার করে যে জামাল খাশোগি কনস্যুলেটের ভেতরেই মারা যান।
অপহরণের পরিকল্পনা
ঊর্ধ্বতন এক সৌদি কর্মকর্তা এখন এই ঘটনা সম্পর্কে এখন যে সর্বশেষ ভাষ্য দিচ্ছেন তা এরকম:
'১৫ সদস্যের সৌদি দলটি ইস্তাম্বুলে এসেছিল জামাল খাশোগিকে অপহরণের উদ্দেশ্যে। তারা খাশোগিকে কনস্যুলেট থেকে তুলে নিয়ে ইস্তাম্বুলের বাইরে একটি 'সেফ হাউজে' আটকে রাখবেন এমনই পরিকল্পনা ছিল। খাশোগি যদি সৌদি আরবে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান, তখন তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা ছিল।'
বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর ২০১৮/আরাফাত
