চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজীদ) আসনে বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশীই হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে খ্যাত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। শেষ মুহূর্তে এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদও। এ আসনে ২০১৮ সালে বিএনপি জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। বর্তমানে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তফসিল ঘোষণা হলে তিনি নির্বাচনি মাঠে সক্রিয় হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন কয়েক মাস ধরে মাঠ গোছাচ্ছেন। নিয়মিত করছেন উঠান বৈঠক। যোগ দিচ্ছেন কর্মী সমাবেশে, সামাজিক অনুষ্ঠানে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এস এম ফজলুল হক তিন দশক ধরে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রতিবারই হয়েছেন ব্যর্থ। এবারও মনোনয়নযুদ্ধে নেমেছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে তিনিও দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। করছেন গণসংযোগ।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। উপজেলা জামায়াতের এই আমির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর থেকে শুরু করেছেন জনসংযোগ। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক নানান অনুষ্ঠানে।