শিরোনাম
প্রকাশ: ০১:৩৩, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অশ্লীল গালিগালাজ

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
অনলাইন ভার্সন
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অশ্লীল গালিগালাজ

আগে রাজনৈতিক স্লোগান ছিল শিষ্টাচারের মধ্যে। স্লোগান সৃজনশীল, অর্থবহ ও শ্রুতিমধুর সংগীত ও কবিতার মতো ছিল। পাকিস্তান আমলে কৈশোরে আমরা সবচেয়ে গুরুতর স্লোগান দিয়েছি এবং অন্যদের মুখে উচ্চারিত হতে শুনেছি : ‘আইউব-মোনায়েম ভাই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই।’ ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।’ ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো।’ স্বাধীনতার পর দেশে তখন অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি ছিল। বড় বড় কবির কবিতায় সন্ত্রাসের চিত্রের স্ফুরণ ঘটত। যেমন আল মাহমুদ তাঁর এক কবিতায় লিখেন : ‘আবার গুলির শব্দ -- বাঁচাও বাঁচাও,/বানাও শালাকে ছিঁড়ে ফেলো,/--- ট্যাট - ট্যাট - ট্যাট/খোল শালী চোরের চোদানী শাড়ি খোল।’ চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় কবি রফিক আজাদ লিখেন : ‘ভাত দে হারামজাদা/তা না হলে মানচিত্র খাব।’

পঁচাত্তরের পরিবর্তনের পর রাজনীতি যখন নতুন করে শুরু হলো তখন পাকিস্তানি আমলের স্লোগান পাল্টে নতুন স্লোগান যোগ হয়েছিল- ‘একটা একটা লীগ ধরো সকাল-বিকাল নাশতা করো।’ ওই সময় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ছাত্রলীগ ছিল বেকায়দায় এবং জাসদ ছাত্রলীগের দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। একে অন্যকে ধরে নাশতা করার স্লোগানই মুখ্য স্লোগান হিসেবে টিকে ছিল দীর্ঘকাল।

২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইসলামী ছাত্রশিবির। এই দীর্ঘ সময়ে তাদের প্রধান স্লোগান একটাই ছিল : ‘একটা একটা শিবির ধরো, ধইরা ধইরা জবাই করো।’ এটা যে কেবল তাদের রাজপথের স্লোগান ছিল না, বরং ছাত্রলীগ তা বাস্তবে রূপ দিয়েছিল তার ভয়াবহ প্রমাণ ২০১২ সালে পুরান ঢাকায় শিবির কর্মী ভেবে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক হিন্দু যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং ২০১৯ সালে আবরাব ফাহাদ নামে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা। দেশের অনেক স্থানে একই ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। 

এরপর স্লোগানে যুক্ত হতে শুরু করেছিল অকথ্য, অশ্রাব্য শব্দ, গালিগালাজ। অল্প দিনেই গালিবিদ্যায় বাঙালি চৌকশ হয়ে ওঠে। পতিতালয়ে ব্যবহৃত গালিগালাজের ভাষা রিজিয়া রহমানের ‘রক্তের অক্ষর’সহ অনেক বাংলা উপন্যাস ও ছোটগল্পে পাওয়া যায়। সেসব অনার্য শব্দাবলি এখন শিক্ষিত এবং চেহারা-ছবিতে পোশাকপরিচ্ছদে ভদ্র-দর্শন কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীর মুখে অবলীলায় উচ্চারিত হচ্ছে। তাদের হাতে ধরা প্রতিবাদী ব্যানার-ফেস্টুনে শোভা পাচ্ছে গালি। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধের সময় রাস্তাজুড়ে আলপনা আঁকার মতো লেখা স্লোগানের ভাষা গালিগালাজে ব্যবহৃত শব্দসম্ভারে নব সংযোজন ছিল। চ-বর্গীয় যাবতীয় গালি ফুলেফলে সুশোভিত হয়েছিল গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময়। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ (?) খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোকেয়া হলের সামনে সমবেত ছাত্রীদের মুখে, হ্যাঁ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের মুখে ‘হাসিনা রে হাসিনা, তোরে আর “-দি” না’ ধরনের হৃদয়-বিখণ্ডকারী স্লোগানও দেশবাসীকে শুনতে হয়েছে। কোন লিঙ্গের ব্যক্তি কোন লিঙ্গের ব্যক্তির উদ্দেশে গালিবর্ষণ করছে, সেই ভেদাভেদও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

জুলাই অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ বর্তমানে অশ্লীল, অমার্জিত শব্দ রাজনৈতিক গালির অভিন্ন পরিভাষায় পরিণত হয়েছে। খোদ শিক্ষিত ছাত্রীরা তাদের নিজেদের শরীরের গোপনাঙ্গ স্লোগানে তুলে আনছেন। সেসব অঙ্গের নামোৎকীর্ণ ফেস্টুন বহন ও প্রদর্শন করছেন। তাদের স্লোগানে ‘শা-য়া’ শব্দটির ব্যবহার যেন কমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘স্ত্রী বহির্জননাঙ্গ’ অথবা শুধুই ‘জননাঙ্গ’। তারা কি না জেনে না বুঝে এ শব্দ ব্যবহার করছেন? কেন শিক্ষার্থীরা অশালীন কথাবার্তাকে রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত করছেন। এসব কী স্বতঃস্ফূর্ত অথবা পরিকল্পিত?

গোপালগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর এ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী, যিনি একসময় মাদরাসাছাত্র ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স করে কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত, তিনি তার এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় বলেন, ‘শা-য়া মাউয়া ছিররা ফালাইতে হবে খানকির পোলাগোর। বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের অস্তিত্ব থাকবে না।’ এক টেলিভিশন টক শোতে শরীফ ওসমান হাদীর কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এগুলো স্ল্যাং (গালি বা অপভাষা) নয়, মুক্তির মহাকাব্য। রাজপথের স্লোগানের একটি ভিন্ন জজবা আছে।’ গালিবাজরা তাদের অশ্লীল গালির অনুকূলে যে ব্যাখ্যাই দিন না কেন, গালিতে বাঙালির পারদর্শিতা ও দক্ষতার ইতিহাস অতি প্রাচীন। হালে তা উচ্চমার্গীয় ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত হয়েছে। বাংলা ভাষায় আমি গালির কোনো সংজ্ঞা না পেলেও অনেক ব্যাখ্যা পেয়েছি। ব্যাখ্যাগুলোও আমার কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।

বাংলাদেশে অনেক বিজ্ঞজন মনে করেন, ‘সমাজ শিশু-কিশোর তৈরি করে না, গালিও তারা সৃষ্টি করে না! আমাদের কিশোররা ক্ষোভ প্রকাশে যেসব ভাষা ব্যবহার করছে এগুলো তাদের সৃষ্ট নয়! গালি সমাজ সৃষ্ট! আমাদের সমাজে গালির ভাষার সৃষ্টি হয়েছে নিপীড়নকারীর আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সমাজে প্রচলিত শব্দকে কেন্দ্র করে। মজলুমরা অশ্লীল শব্দ প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করে। আর মজলুমের ওপর জালেমরা অশ্লীল শব্দ আক্ষরিক অর্থেই প্রয়োগ করে।’ তাদের মতে, ‘ভাষার প্রতীকী প্রয়োগ যদি অন্যায় হয়ে থাকে নিপীড়নকারীর প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক অশ্লীলতাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যাবে? জালেমের প্রতি গালির আকারে মনস্তাত্ত্বিক আঘাত হানতে পারলে সমাজ শুদ্ধ হবে, অশ্লীল গালিও দূর হবে। তারা বলেন, ‘পুলিশ কোন চ্যাটের বাল’ এই ভাষা মজলুমের, ক্ষমতাহীনের। এই ভাষার শ্লেষ সহ্য করার শক্তি ক্ষমতাবানের নেই। বিপ্লব কোনো মিলাদ মাহফিল নয়- এখানে লজ্জাশরম থাকতে নেই। বিপ্লবের ‘প্রথম রক্ত’ নির্গত হয় ভাষা দিয়ে। ছাত্রদের স্লোগানের ভাষা এক নতুন বিপ্লবের জন্ম দিচ্ছে। এই ভাষা সুন্দর, এই ভাষা শৈল্পিক, মোটেই অশ্লীল নয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো কাউকে গালি দিই না। বন্ধুমহলে আলোচনায় অনেকে পুরুষ ও নারীদেহের প্রাইভেট পার্টস বা একান্ত অঙ্গের উল্লেখ করেন কারও ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে। আমি সেগুলোও উচ্চারণ করি না। আমি শব্দসচেতন, অতএব আমার মুখ থেকে সেসব নির্গত হয়নি, হয় না এবং বাকি দিনগুলোতেও হবে না। আমি যা শুনি তা ধারণ করে রাখি এবং গালির ভাষা দিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিবর্তন উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। সমাজবিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গবেষণা করতে পারেন। ভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘গালি বন্ধ ঘর অভিযান’ অর্থাৎ বাড়িকে গালিমুক্ত করার অভিযানে ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ১১ বছরে ভারতের ৫ হাজার গ্রাম ও শহরে ৭০ হাজার লোকের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে গালির সূচক তৈরি করেছেন। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৫ শতাংশ ভারতীয় গালিগালাজ করতে অভ্যস্ত। সবচেয়ে বেশি গালি চর্চা হয় রাজধানী দিল্লিতে, প্রায় ৮০ শতাংশ। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোর তুলনায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে গালি ব্যবহারের মাত্রাও কম। সবচেয়ে কম গালি প্রয়োগ করা হয় কাশ্মীর ও লাদাখে, মাত্র ১৫ শতাংশ।

গালিগালাজের ওপর সামান্য পড়াশোনা করে যা জানতে পারলাম, তাতে দেখা যায়, আর্যদের দেশ প্রাচীন পারস্য বা বর্তমান ইরানি সমাজে অশ্লীল কোনো গালি নেই। ইরানিরা কী রাগান্বিত হয় না? অবশ্যই হয়। আমাদের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করা হলে আমরা ভাবতেই পারি যে কাউকে গালি না দিয়ে ওদের দিন কাটে কীভাবে? ভালোই কাটে। ইরানিদের সবচেয়ে অশ্লীল গালি ‘গুম শো’ ইংরেজিতে যা প্রকাশ করা হয়, ‘GET LOST,’ এ ছাড়াও খারাপ গালি আছে ইরানিদের। যেমন : ‘পেদার সুকতে’ যার বাংলা অর্থ ‘তোর বাপ আগুনে পুড়ুক!’ এমনকি চূড়ান্ত ক্রোধ প্রকাশেও তারা এ ভাষা ব্যবহার করে! অভদ্র ভাষায় কথা বললে প্রতিপক্ষের মুখে বড় জোর বের হয়, ‘আপনি “বদজবান” বা আপনি “বাজে কথা” বলেন।’

বাঙালি জাতি ভিন্ন, সমাজ ভিন্ন। বাঙালি মিশ্র জাতি, বাঙালির ভাষা ততোধিক মিশ্র। বাঙালির গাত্রবর্ণের মা-বাপ নেই। থাকবে কীভাবে? কোনো জাতিগোষ্ঠীর শৌর্যের সঙ্গে প্রচুর বীর্যও এখানে প্রবাহিত হয়নি? যারা আসেনি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়লেই মনে হয়, আমাদের পূর্বপুরুষেরা কেবল নয়, পূর্বনারীরাও ডেকে ডেকে নানা জাতির লোকজনকে এখানে জড়ো করেছিলেন : ‘এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু-মুসলমান/এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খ্রিস্টান।’ এমন ডাক শুনে কে না আসবে? এবং আসবে তো পুরুষরা, নারীরা তো আর নদী-সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত, সীমাহীন মরু, শ্বাপদসংকুল বনজঙ্গল পেরিয়ে আসবে না। অতএব রবিঠাকুরের আহ্বানে ‘দ্রাবিড় চীন, শক-হুন-পাঠান-মোগল’ ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠীর ভদ্র-অভদ্র, উচ্চ-নীচ লোক যার পক্ষে দুনিয়ার যেখান থেকে সম্ভব দৌড়ে এসে যা যা করার তা করেছে। এমন মিশ্র বাঙালি জাতির গালির ভান্ডার সমৃদ্ধ হলে কাকে দোষ দেওয়া যাবে? কিন্তু আমাদের আশপাশের অনেক ভাষায় গালির সংজ্ঞা আছে। সেসব ভাষায় গালি শিল্পমানে উন্নত, সাহিত্য মানে উত্তীর্ণ এবং গালির প্রয়োগ মনে প্রশান্তির প্রলেপ দানকারী মনে হয়েছে।

হিন্দি ভাষায় গালির সংজ্ঞা : ‘অত্যধিক ক্রোধ আনে পর শারীরিক রূপ সে হিনসা না করতে হুয়ে শাব্দিক রূপ সে কারওয়াই করণে কে লিয়ে চুনিন্দা শব্দ কে উচ্চারণ কে বাদ মন কো অসীম শান্তি মিলতে হ্যায়, উসে গালি কেহতে হ্যায়।’

এর বাংলা অর্থ হচ্ছে : ‘প্রচণ্ড রাগান্বিত হলে শারীরিকভাবে সহিংস আচরণ করার পরিবর্তে শব্দ দ্বারা রাগ প্রশমিত করার জন্য বাছাই করা শব্দ উচ্চারণের পর মনে সীমাহীন আনন্দবোধ করাকে গালি বলা হয়।’

উর্দু ভাষায় গালির সংজ্ঞা আরও মার্জিত, যেমন : ‘ইন্তেহায়ি গুসসে কি হালাত মে জিসমানি তউর পর তাশাদ্দুদ কি বাজায়ে জবানি তউর সে কি জানে ওয়ালি লফজি কারওয়াই কে লিয়ে মুন্তাখিব আলফাজ-এ গালিজা, আন্দাজ-এ-বাসিতা, লেহজা-এ-কোরিহা আউর আসরাত-এ-সাফিহা কে মজম্মু ইস্তেমাল কে বাদ ইতমিনান আউর সুকুন কি না কাবিল-এ-বায়ান কাইফিয়াত সে দিল বেহরাওয়ার হো জাতা হ্যায় উসে গালি কাহা জাতা হ্যায়।’

এই সংজ্ঞাকে বাংলা অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায় : ‘রাগ চরম সীমায় পৌঁছে গেলে শারীরিকভাবে সহিংস আচরণের পরিবর্তে মৌখিকভাবে কটূক্তি করার জন্য সহজসরলভাবে, সুনির্দিষ্ট অর্থবহ ও সুদীর্ঘ প্রভাব সৃষ্টিকারী সংগৃহীত শব্দাবলি প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে বর্ণনাতীত আনন্দ ও পরিতৃপ্তি লাভ এবং হৃদয়-মন প্রশান্তিতে ভরে গেলে সেটিকে গালি বলা হয়।’

আমাদের প্রতিবেশী দেশের উত্তর প্রদেশের ঐতিহাসিক শহর এবং সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র লখনউ-এর লোকজন তাদের পরিশীলিত ভাষা এবং মার্জিত ও বিনয়ী আচরণের জন্য খ্যাত। সেখানে কেউ রেগে কাউকে গালি দিলেও প্রতি উত্তরে গালির শিকার ব্যক্তি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সাড়া দেন : ‘আপ বাখওয়াজ ফরমা রাহে হ্যায়!’ অর্থাৎ ‘আপনি খুব নিম্নমানের কথা বা বাজে কথা বলছেন।’ ওই শহরে উপমহাদেশে তুচ্ছার্থে ব্যবহৃত ‘তুই, তোকারি’ নেই। অবোধ শিশুকেও সম্বোধন করা হয় ‘আপ’ (আপনি) বলে।

লখনউ-এর গালিগালাজও গালির মতো মনে হয় না। সেখানে কেউ ক্রুদ্ধ হলেও ক্রোধের প্রকাশ উচ্চমানের সাহিত্যচর্চার মতো হয়। যেমন কেউ যদি কাউকে গালি দিয়েও ফেলে, সে ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ সাড়া দেয় : ‘দেখিয়ে মুহতারাম, আগার আপনে হামারে শায়ানে শান মে এক ভি নাজেবাহ খেয়াল পেশ কিয়া তো হাম আপকি আম্মিজান কি শান মে গুস্তাখি কর কে আপকে জজবাত কো মজরুহ কর দেঙ্গে।’

অর্থাৎ ‘দেখুন মাননীয়, আপনি যদি আমার সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে আর একটি উচ্চ ধারণা পোষণকারী শব্দ উচ্চারণ করেন, তাহলে আমি আপনার শ্রদ্ধেয় মায়ের মর্যাদার প্রতি বেয়াদবি করে আপনার আবেগ-অনুভূতির ওপর আঘাত করব।’ কেউ যদি গালির পরিবর্তে গালি না দিয়ে এমন চমৎকার শালীন, মার্জিত শব্দের প্রয়োগ করে, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের পক্ষ থেকে যদি ‘মুকাররার! মুকাররার!’ অর্থাৎ ‘বলুন, আরেকবার বলুন!’ ধ্বনি উঠে তাতে অবাক হওয়া কিছু থাকবে না। উত্তর প্রদেশের অনেক স্থানে হিন্দিতে যদি বলা হয় : ‘এক চাটে (চাড্ডে) মে তারে দিখা দুঙ্গা,’ অর্থাৎ ‘এক থাপ্পড়ে আসমানের তারা দেখিয়ে দেব।’

এই কথাটিই লখনউ-এর বিনয়ী উর্দুতে বলা হবে : ‘জনাব, আপ আগার আয়েন্দা ইয়ে হিমাকত কি তো হামারা আপকে রুখসার কো ইস কদর সুরখ কর দেগা কি আপকো আফতাব কি মওজুদগি মে সিতারো কা দিদার হো জায়েগা। লেহাজা হদ মে রাহে।’ এর বাংলা অর্থ দাঁড়াবে : ‘মহোদয়, আপনি যদি ভবিষ্যতে এমন বোকামির কাজ করেন, তাহলে আমি আপনার সুন্দর মুখকে এমন লাল করে দেব যে আপনি চাঁদের আলোতেও তারা দেখতে পাবেন। অতএব আপনি সীমার মধ্যে থাকুন।’ অনেক চ্যাংড়া পোলাপান তাদের ক্ষমতাবান বাপের নাম ভাঙিয়ে অন্যকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, ‘তুই জানিস, আমার বাপ কে?’ উর্দু ভাষায় এ কথাকেই কাব্যিক ঢংয়ে বলা হয় : ‘তোমহারা ইলম হ্যায় কে মেরা ওয়ালিদ সাব কো?’ অর্থাৎ ‘আমার পিতৃ মহোদয়ের ব্যাপারে তোমার কি কোনো ধারণা আছে?’

ইংরেজি ভাষায় গালির সংজ্ঞা মোটামুটি এমন : ‘গালি একধরনের স্পর্শকাতর মৌখিক অপব্যবহার। কেউ যখন প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে ঘায়েল করতে, তার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে, উপহাস করতে, নীচু দেখাতে এবং অপমানিত করার উদ্দেশ্যে দৈহিক শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে সমাজে অপ্রচলিত ও আপত্তিকর শব্দ সহযোগে আক্রমণ না করে ভাষা দিয়ে আক্রমণ করে সেটি গালি হিসেবে বিবেচিত হয়।’ পাশ্চাত্যে গালিগালাজের ভান্ডার তেমন সমৃদ্ধ নয় বলেই মনে হয়। অথবা পাশ্চাত্যে ইতর ধরনের কারও সঙ্গে আমার ওঠাবসা হয়নি বলে সব গালি সম্পর্কে জানি না। তবে পথে-যানবাহনে চলাফেরায় কিছু কমন গালি কানে এসেছে : ‘অ্যাসহোল,’ ‘মাদার ফাকার,’ ‘পিস অফ শিট,’ ‘ফাকিং ইডিয়ট,’ ‘ফাকিং বিচ,’ ‘কান্ট,’ ‘বাস্টার্ড’ ইত্যাদি।

নানা ধরনের মানুষ নিয়েই সমাজ। প্রত্যেক্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। প্রত্যেকের মাঝে রাগবিরাগ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। শারীরিক সহিংসতার পরিবর্তে গালি দিয়ে যদি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়ানো যায়, তাহলে গালিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কিন্তু গালির ভাষা কীভাবে সৃজনশীল ও মাধুর্যপূর্ণ করা যায়, সমাজবিদরা তা ভেবে দেখতে পারেন।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
সংক্ষুব্ধ মানুষ, কিন্তু প্রকাশের পথ পাচ্ছে না
সংক্ষুব্ধ মানুষ, কিন্তু প্রকাশের পথ পাচ্ছে না
নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা জানান
নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা জানান
সেনা সাফল্যে খেই হারানো গুজববাজরা ফের সক্রিয়
সেনা সাফল্যে খেই হারানো গুজববাজরা ফের সক্রিয়
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
বাড়ছে গুজব ও অপতথ্য
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতেই হবে
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
নির্বাচন প্রশ্নে চাই জাতীয় ঐক্য
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
মূল্যস্ফীতি, খাদ্যভোগ এবং উৎপাদন
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
রাজনৈতিক কারণে ইমেজ সংকটে বাংলাদেশ
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
নেপালে বিক্ষোভের নেপথ্যে দুর্নীতি নয়, ভূ-রাজনীতি
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূ–রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে?
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
পিআরের দাবিতে আন্দোলন নির্বাচন পেছানোর কৌশল
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানের ভালো দিন আর ভারতের বাজে দিন চান মিসবাহ
পাকিস্তানের ভালো দিন আর ভারতের বাজে দিন চান মিসবাহ

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলকে হারাল ক্রিস্টাল প্যালেস
শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলকে হারাল ক্রিস্টাল প্যালেস

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অশ্লীল গালিগালাজ
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অশ্লীল গালিগালাজ

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গুলশান থেকে কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ আটক
গুলশান থেকে কামাল মজুমদারের ছেলে শাহেদ আটক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল নেপাল
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল নেপাল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তামিলনাড়ুতে থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৮
তামিলনাড়ুতে থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৮

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশপুরে ৪ স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার
মহেশপুরে ৪ স্বর্ণের বারসহ দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মাদরাসা ছাত্রসহ নিহত ৩
হবিগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মাদরাসা ছাত্রসহ নিহত ৩

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ছাত্রদলে যোগদান
লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ছাত্রদলে যোগদান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় রাজবাড়ীতে ২ জনের মৃত্যু
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় রাজবাড়ীতে ২ জনের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রুনোর পেনাল্টি মিসে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারল ইউনাইটেড
ব্রুনোর পেনাল্টি মিসে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারল ইউনাইটেড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাতুড়িপেটায় প্রধান শিক্ষকের পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
হাতুড়িপেটায় প্রধান শিক্ষকের পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আতলেতিকোর মাঠে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ
আতলেতিকোর মাঠে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারল বাংলাদেশ
ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে কেউ না খেয়ে মরবে না : জিন্নাহ কবীর
৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে কেউ না খেয়ে মরবে না : জিন্নাহ কবীর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে নিহত অন্তত ৩৬
থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে নিহত অন্তত ৩৬

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাবলের চোখে ধরা পড়ল মহাজাগতিক গ্রহ ধ্বংসের দৃশ্য
হাবলের চোখে ধরা পড়ল মহাজাগতিক গ্রহ ধ্বংসের দৃশ্য

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা
ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পাহাড়ে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৫ পদের জন্য বুলবুল-তামিমসহ মনোনয়ন নিলেন ৬০ জন
২৫ পদের জন্য বুলবুল-তামিমসহ মনোনয়ন নিলেন ৬০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়া ৭ শিক্ষার্থী উদ্ধার
চট্টগ্রামে পাহাড়ে হারিয়ে যাওয়া ৭ শিক্ষার্থী উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাঘের তাড়া খেয়ে লোকালয়ে দুই হরিণ
বাঘের তাড়া খেয়ে লোকালয়ে দুই হরিণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির
৭৩ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইসির

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীপুরে নারী মডেলকে রিসোর্টে আটকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১৪
শ্রীপুরে নারী মডেলকে রিসোর্টে আটকে গণধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১৪

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষক দলের নেতা নিহত
প্রতিপক্ষের মারধরে কৃষক দলের নেতা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে ইয়াবাসহ আটক ১
কক্সবাজারে ইয়াবাসহ আটক ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুড়িগ্রামে র‌্যাবের টহল জোরদার
দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুড়িগ্রামে র‌্যাবের টহল জোরদার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পর্যটন দিবসে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ
পর্যটন দিবসে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড্ডায় বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী
বাড্ডায় বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফগান ঘাঁটি দখল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল চীনসহ ৪ দেশ
আফগান ঘাঁটি দখল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল চীনসহ ৪ দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান ট্রাম্প, নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা
গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান ট্রাম্প, নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট বার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ বছরের জন্য গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্ব নেত্বত্ব দেবেন টনি ব্লেয়ার?
পাঁচ বছরের জন্য গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্ব নেত্বত্ব দেবেন টনি ব্লেয়ার?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন না, জানালেন ওবামা
কেন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন না, জানালেন ওবামা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করা নেতারা গোপনে ধন্যবাদ জানান: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু
প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করা নেতারা গোপনে ধন্যবাদ জানান: জাতিসংঘে নেতানিয়াহু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সূর্যকুমার ও রউফকে আইসিসির শাস্তি
সূর্যকুমার ও রউফকে আইসিসির শাস্তি

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ রান সাইফের
সর্বোচ্চ রান সাইফের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলকে সাহায্য করা ১১ দেশের ১৫৮ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ জাতিসংঘের
ইসরায়েলকে সাহায্য করা ১১ দেশের ১৫৮ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ জাতিসংঘের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আধুনিক চিকিৎসায় উটের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যবহার
আধুনিক চিকিৎসায় উটের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যবহার

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে হঠাৎ বিরল বৈঠক তলব যুক্তরাষ্ট্রের
শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে হঠাৎ বিরল বৈঠক তলব যুক্তরাষ্ট্রের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে তোপের মুখে ডা. সাবরিনা
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে তোপের মুখে ডা. সাবরিনা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরালো ইরান
নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরালো ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভেনেজুয়েলায় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র!
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভেনেজুয়েলায় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল লাদাখ মোদি সরকারের জন্য কতটা চিন্তার?
বিক্ষোভে উত্তাল লাদাখ মোদি সরকারের জন্য কতটা চিন্তার?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক প্রার্থী সঙ্গীতশিল্পী আসিফ
বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক প্রার্থী সঙ্গীতশিল্পী আসিফ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত ভিডিও ফাঁস হওয়ায় কেড়ে নেওয়া হলো থাই সুন্দরীর মুকুট
বিতর্কিত ভিডিও ফাঁস হওয়ায় কেড়ে নেওয়া হলো থাই সুন্দরীর মুকুট

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিশ্বনেতাদের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিশ্বনেতাদের পূর্ণ সমর্থনের অঙ্গীকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোর নীল নকশা তৈরি: পাকিস্তান কোচ
ভারতকে হারানোর নীল নকশা তৈরি: পাকিস্তান কোচ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারত আমাদের জবাব কোনোদিন ভুলবে না : শাহবাজ শরিফ
ভারত আমাদের জবাব কোনোদিন ভুলবে না : শাহবাজ শরিফ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: তাহের
আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: তাহের

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইয়েমেনে হামলার শিকার জাহাজের সব ক্রু পাকিস্তানি
ইয়েমেনে হামলার শিকার জাহাজের সব ক্রু পাকিস্তানি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা
পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবি পার্টি ছেড়ে জামায়াতে যাচ্ছেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী
এবি পার্টি ছেড়ে জামায়াতে যাচ্ছেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪ বিলিয়ন ডলারে টিকটক বিক্রি করবেন ট্রাম্প
১৪ বিলিয়ন ডলারে টিকটক বিক্রি করবেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুর সাফারি পার্কে গভীর রাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ১১ যুবক থানায়
গাজীপুর সাফারি পার্কে গভীর রাতে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ১১ যুবক থানায়

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনিকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না নিউজিল্যান্ড
ফিলিস্তিনিকে এখনই স্বীকৃতি দেবে না নিউজিল্যান্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে গেলে ইসরায়েল তার বাকি বন্ধুদেরও হারাতে পারে’
‘গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে গেলে ইসরায়েল তার বাকি বন্ধুদেরও হারাতে পারে’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল যশোরের মনিরামপুর
আবার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল যশোরের মনিরামপুর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে : তারেক রহমান
ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে : তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মির্জা ফখরুলের আসনে অন্য দলের ব্যাপক গণসংযোগ
মির্জা ফখরুলের আসনে অন্য দলের ব্যাপক গণসংযোগ

নগর জীবন

সংকট কাটছে রাজনীতিতে
সংকট কাটছে রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে
হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান স্বপ্নের ফাইনাল আজ
ভারত-পাকিস্তান স্বপ্নের ফাইনাল আজ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মুক্তির ৩০ বছর পরও দর্শকপ্রিয় বিশ্বপ্রেমিক
মুক্তির ৩০ বছর পরও দর্শকপ্রিয় বিশ্বপ্রেমিক

শোবিজ

অবরোধে স্থবির খাগড়াছড়ি
অবরোধে স্থবির খাগড়াছড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

হিন্দি বলতে না পারায় দিল্লিতে ছাত্রদের নির্যাতন
হিন্দি বলতে না পারায় দিল্লিতে ছাত্রদের নির্যাতন

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাটারি রিকশা : পাল্টাপাল্টি শোডাউন
ব্যাটারি রিকশা : পাল্টাপাল্টি শোডাউন

নগর জীবন

বেঁচে থাকার মতো অক্সিজেন পেয়েছি
বেঁচে থাকার মতো অক্সিজেন পেয়েছি

শোবিজ

ঢাকার ছবিতে কেন অভিনয় করতে পারলেন না - স্মিতা পাতিল
ঢাকার ছবিতে কেন অভিনয় করতে পারলেন না - স্মিতা পাতিল

শোবিজ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্প

পেছনের পৃষ্ঠা

বক্সিং সমৃদ্ধ করতেই অরভিন্দের আগমন
বক্সিং সমৃদ্ধ করতেই অরভিন্দের আগমন

মাঠে ময়দানে

বাঘের তাড়া খেয়ে সুন্দরবনের হরিণ লোকালয়ে
বাঘের তাড়া খেয়ে সুন্দরবনের হরিণ লোকালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

শাকিবের প্রিয় জয় নাকি বীর?
শাকিবের প্রিয় জয় নাকি বীর?

শোবিজ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেই লিটন!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেই লিটন!

মাঠে ময়দানে

ক্যাম্পের বাইরে স্থায়ী রোহিঙ্গারা
ক্যাম্পের বাইরে স্থায়ী রোহিঙ্গারা

পেছনের পৃষ্ঠা

মনোনয়ন চান বিএনপির আট নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী
মনোনয়ন চান বিএনপির আট নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ যথেষ্ট শক্তিশালী
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ যথেষ্ট শক্তিশালী

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের ঢালাও ব্যাংক হিসাব জব্দ ঠিক নয়
ব্যবসায়ীদের ঢালাও ব্যাংক হিসাব জব্দ ঠিক নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলের হয়ে কাজ করছে ১৫৮ কোম্পানি : জাতিসংঘ
ইসরায়েলের হয়ে কাজ করছে ১৫৮ কোম্পানি : জাতিসংঘ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবাধিকার কমিশনে মেরুদণ্ডহীন কাউকে বসানো যাবে না
মানবাধিকার কমিশনে মেরুদণ্ডহীন কাউকে বসানো যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে পর্দা নামল মেড ইন পাকিস্তান প্রদর্শনীর
আইসিসিবিতে পর্দা নামল মেড ইন পাকিস্তান প্রদর্শনীর

নগর জীবন

বুথ থেকে টাকা তুলে জাল নোট পেলেন কৃষক
বুথ থেকে টাকা তুলে জাল নোট পেলেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশে দেশের বদনাম
বিদেশে দেশের বদনাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হজ প্যাকেজ ঘোষণা আজ, কমবে খরচ
হজ প্যাকেজ ঘোষণা আজ, কমবে খরচ

নগর জীবন

এক পোয়া মাছ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি
এক পোয়া মাছ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

তথ্য কমিশন গঠনে দেরি ব্যর্থতা
তথ্য কমিশন গঠনে দেরি ব্যর্থতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কারও পক্ষে কাজ করা যাবে না
কারও পক্ষে কাজ করা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আকিজ এগ্রো
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আকিজ এগ্রো

নগর জীবন