রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পর্দা নেমেছে তৃতীয় ‘মেড ইন পাকিস্তান’ প্রদর্শনীর। পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে বিভিন্ন খাতের ১০০টিরও বেশি পাকিস্তানি কোম্পানি অংশ নেয়। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার ও ব্যবসায়িক অংশীদারি বৃদ্ধির জন্য এ আয়োজন করা হয়।
গতকাল আইসিসিবির গুলনকশা হলে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলে পাকিস্তানি বিভিন্ন পণ্যের খোঁজখবর নিচ্ছেন ক্রেতারা। প্রদর্শনীর শেষ দিন হওয়ায় অন্য দিনের তুলনায় মানুষের ভিড়ও ছিল বেশি। রামপুরা থেকে আসা মাহমুদ আলী বলেন, পাকিস্তানি থ্রি-পিসের অনেক সুনাম, দেখতেও সুন্দর। তাই থ্রি-পিস কিনতে এলাম। এ ছাড়া কসমেটিকসের বিভিন্ন আইটেমও দেখেছি। ঈদের আগে এ ধরনের মেলা হলে কেনাকাটা সহজ হবে। মেলায় দাসির এক্সপোর্ট সেলস ম্যানেজার মো. আদিল জিয়া বলেন, আমরা চিকেন জাইকা পাউডার, হুইপিং ক্রিম, ক্রেকার্স, জিনজার গার্লিক কিউব এবং চকলেট স্প্রিড বিক্রি ও প্রদর্শন করেছি। এখানে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
এস এম ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর শামীম আহমেদ বলেন, আমরা গুল আহমেদের সব ধরনের পাকিস্তানি থ্রি-পিস বিক্রি করছি। পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বাংলাদেশে ব্যাপক। প্রেস্টিজিয়াস স্টোন কালেকশনের সিইও জাভেদ তাওহীদ বলেন, আমরা হিমালয় ডার্ক পিঙ্ক সল্ট, লাইট পিঙ্ক সল্ট, মিডিয়াম পিঙ্ক সল্ট, ফাইন লাইট পিঙ্ক সল্ট, ফাইন ডার্ক পিঙ্ক সল্টসহ বিভিন্ন টেলক পাওডার প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে এসেছি।
পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সিবিশন ইন্ডাস্ট্রির (পিএইআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান এম খুরশিদ বারলাস বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল থাকলেও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো সীমিত। অথচ আঞ্চলিক ভোক্তা বাজারের আকার অনেক বড়। যথাযথ উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য বছরের মধ্যে ১০ গুণ বৃদ্ধি সম্ভব।