এক. রোহিঙ্গা সমস্যা এখন সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। বলা হচ্ছে, আমাদের মুরুব্বি দেশগুলো এ সমস্যা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে নিজেদের স্বার্থে। মিয়ানমারের আরাকান বা রাখাইনে তথাকথিত মানবিক করিডর দেওয়ার আবদার এসেছে সে স্বার্থের কারণে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একাংশ অস্ত্র ও মাদক কারবারে জড়িত। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। সবারই জানা, পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা অস্তমিত হয়। মীর মদন, মোহনলালের অসামান্য বীরত্ব সত্ত্বেও মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজ বাহিনী ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতা শুধু নয়, কালক্রমে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা হারায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতবর্ষের মালিক-মোক্তার বনে যায়। তবে তখনো দিল্লিতে ছিল মোগল সম্রাটের কাগুজে অস্তিত্ব। ক্ষমতাহীন দিল্লির সম্রাট ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পেনশনভোগী। বছরে ১ লাখ টাকা ভাতা পেতেন তিনি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারত শাসনের বৈধতা পেয়েছিল দিল্লির মোগল সম্রাটের ফরমানবলে। সে কারণে তারা সম্রাটের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তবে রাজপ্রাসাদের বাইরে সম্রাটের কোনো কর্তৃত্বই ছিল না।
ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে বিদ্রোহী হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এদেশীয় সেনারা। তারা শেষ মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে ভারতের সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করে। দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্রোহীদের কর্তৃত্ব। সিপাহি বিদ্রোহ তথা ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢেউ অনুভূত হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশেও। সে বিদ্রোহের স্মৃতি বহন করছে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক। বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর যেখানে শত শত স্বাধীনতাসংগ্রামীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। লালবাগ দুর্গেও ফাঁসি দেওয়া হয় অসংখ্য সৈনিককে। পলাশী প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতার সূর্য নিভিয়ে দেয়। তারপর একে একে ভারতবর্ষও স্বাধীনতা হারায়। সে সময়ও প্রতিবেশী বার্মা বা আজকের মিয়ানমার ছিল স্বাধীন দেশ। ১৯২৬ সালে সে দেশও চলে আসে ইংরেজদের অধীনে। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বার্মা ছিল ভারতবর্ষেরই একটি প্রদেশ। রটনা রয়েছে, ইংরেজরা বার্মায় অভিযান চালিয়েছিল স্টিমারযোগে। স্টিমারের কালো ধোঁয়া ও হুইসলের শব্দ শুনে ঘাবড়ে যায় বর্মিরা। এটাকে স্বর্গলোক থেকে আসা দৈত্যদানব ভেবে পালিয়ে যায় তারা। বিনা যুদ্ধেই প্রথম দফায় হার মানে বর্মিরা।
বলছিলাম ভারতবর্ষের স্বাধীনতা হারানোর কথা। সিপাহি বিদ্রোহের মাধ্যমে সে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা চলে তা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ইংরেজরা বৃদ্ধ সম্রাটকে বন্দি করে। মোগল রাজপুত্রদের নির্দয়ভাবে ফাঁসিতে ঝোলায়। কেড়ে নেওয়া হয় সম্রাটের সব অধিকার। মোগল শাসনের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তিও ঘোষণা করে তারা। বৃদ্ধ সম্রাট শাহ আলম জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হয় বার্মার রাজধানী রেঙ্গুনে। ভারতবর্ষের শেষ মোগল সম্রাট সেখানে অভাব-অনটন আর অনাদর-অবহেলায় প্রাণ হারান। রেঙ্গুনে এখনো রয়েছে হতভাগ্য সম্রাট বাহাদুর শাহের সমাধিস্থল। তার কবরে এপিটাফ হিসেবে লেখা রয়েছে তারই লেখা কবিতার পঙ্ক্তি। পঙ্ক্তিটা হলো- ‘কিতনা বদ নসিব হ্যায় জাফর দাফনকে লিয়ে দু’গজ জমিন ভি না মিলি কু ইয়ারমে।’ যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- কেমন বদ নসিব তোমার জাফর, দাফনের জন্য স্বদেশে দুই গজ জায়গাও পেলে না।
বার্মার সরল সোজা মানুষ স্টিমারের হুইসল আর কালো ধোঁয়া দেখে স্বর্গালোক থেকে আসা দৈত্যদানব ভেবে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে পালিয়ে যায়। তবে ঘোর কাটার সঙ্গে সঙ্গে তারা রুখে দাঁড়ায়। ফলে বার্মা দখল ইংরেজদের জন্য খুব একটা সহজ হয়নি। সিপাহি বিদ্রোহের আগে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বার্মার দ্বিতীয় যুদ্ধে সে দেশ পুরোপুরিভাবে পদানত হয়। ভারতবর্ষের পাশাপাশি নিভে যায় বার্মার স্বাধীনতার সূর্য। সে দেশের পরাজিত রাজা থিবোকে নির্বাসনে পাঠানো হয় ভারতে। তাকে বছরে মাসোহারা দেওয়া হতো মাত্র ৬০০ টাকা। বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৪৮ সালে। ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের এক বছর পরে। স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতৃত্ব দেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির বাবা জেনারেল অং সান। ভারতের স্বাধীনতার মহানায়ক মহাত্মা গান্ধী, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপিতা বন্দর নায়েক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মতো জেনারেল অং সানকে প্রাণ হারাতে হয় অপঘাতে।
দুই. বিশাল দেশ মিয়ানমারেরই একটি রাজ্য রাখাইন। সাড়ে ৩ হাজার ফুট উচ্চ পর্বতমালা এ রাজ্যকে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। রাখাইনেরই প্রাচীন নাম আরাকান। বাংলাদেশ ও আরাকানকে বিভক্ত করেছে নাফ নদ। শত শত বছর ধরে আরাকানের সঙ্গে বাংলাদেশের ছিল গভীর যোগাযোগ। আরাকান স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজের অস্তিত্ব অটুট রেখেছে অন্তত ৪ হাজার ৩০০ বছর ধরে। খ্রিস্টপূর্ব ১৬৬৬ অব্দ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল মোটামুটিভাবে স্বাধীন দেশ। ১৭৮৫ সালে আরাকানের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে বার্মারাজ বোধপায়া আরাকান দখল করেন। তার আগে আরাকানের রাজারা টিকে ছিলেন দাপটের সঙ্গে। আরাকান তো বটেই, চট্টগ্রামও একসময় ছিল তাদের দখলে। মগ নামের রাখাইন দস্যুদের উৎপাত ছিল বাংলাদেশজুড়ে। বাংলার মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান দুর্বিনীত মগদের শায়েস্তা করেন। চট্টগ্রামকে তিনি মুক্ত করেন মগ তথা আরাকান রাজের আধিপত্য থেকে। মগ বন্দিদের ঢাকায় এনে যে স্থানে রাখেন, সেটির নাম এখন মগবাজার। আরাকান বা আজকের রাখাইনের একটি জাতি-গোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের সিংহভাগ মুসলমান। তবে তাদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীও রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষদের একাংশ বাংলাদেশ থেকে ৬০০ বছর আগে আরাকানে গিয়েছিল সে দেশের রাজা নরমেইখলার ডাকে। ১৪০৬ সালে বার্মার রাজা মেং শো আই আরাকানে অভিযান চালান। রাজা নরমেইখলা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বাংলার রাজধানী গৌড়ে পালিয়ে আসেন। সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহর কাছে তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করেন। সুলতান আরাকানকে বর্মি আধিপত্য থেকে মুক্ত করতে রাজা নরমেইখলাকে সৈন্য দিয়ে সাহায্য করেন। মনে করা হয় আরব বণিকদের পাশাপাশি এ বাঙালি সৈন্যরা রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষ। বাঙালিরা রাখাইনে যাওয়ার আগে থেকে আরবদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে সংখ্যায় ক্ষুদ্র হলেও সে দেশে একটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বও ছিল। যারা কালক্রমে রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত হয়।
রাজা নরমেইখলার আমলে আরাকান রাজদরবারে বাংলা ভাষা দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা পায়। মধ্যযুগে বাংলা ভাষাচর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় আরাকানের রাজদরবার। আরাকান রাজাদের আমলে মহাকবি আলাওল রাজদরবার আলোকিত করেছেন কাব্য রচনার মাধ্যমে।
তিন. রাখাইনে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের সম্পর্কের অবনতি কখন থেকে শুরু হয় তা সুনিশ্চিত করে বলার অবকাশ নেই। রাখাইন রাজাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগে ১৭৮৪ সালে বার্মা আরাকান দখল করে। ১৮২৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বার্মায় অভিযান চালায়। কালক্রমে বার্মা ইংরেজ শাসনাধীনে চলে যায়। বার্মা ভারতবর্ষের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। সে সময় হাজার হাজার বাঙালি তো বটেই, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের অধিবাসীরা বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন এবং আরাকানের রাজধানী আকিয়াবে ভাগ্যান্বেষণে ছুটে যায়। স্বাধীন বার্মার স্থপতি অং সান নিজে ছিলেন বর্মি। তবে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে তিনি বার্মার সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমর্থন আদায়ে সমর্থ হন। রোহিঙ্গাদের সমর্থনও ছিল অং সানের পেছনে। বার্মার জনসংখ্যার ৩০ ভাগ ১৪০টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রতি অং সানের এ মমত্বকে বর্মি রক্ষণশীলরা ভালো চোখে দেখেনি। স্বাধীনতার বছরেই প্রাণ হারান অং সান ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। ১৯৬২ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করলে সে দেশের সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের স্টিমরোলার নেমে আসে। সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের সে দেশের কোনো জাতি-গোষ্ঠী বলে মনে করত না। ১৯৭৮ সালে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের বিভীষিকা। সশস্ত্র সংগঠনের অপতৎপরতা ঠেকাতে সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর। লাখ লাখ রোহিঙ্গা সে সময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৯১-৯২, ২০১২ ও ২০১৬ সালেও ঘটে একই ধরনের অভিযান। প্রতিবারই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা দেশত্যাগী হয়।
চার. মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা একটি স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী। আরব, বাঙালি ও আরাকান রক্তের উত্তরসূরি তারা। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের বাংলা ভাষার সঙ্গে রোহিঙ্গা ভাষার মিল থাকলেও তারা বাঙালি নয়। যেমন উড়িষ্যা এবং আসামের ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষার মিল থাকলেও তাদের বাঙালি বলার সুযোগ নেই। রোহিঙ্গারাও নিজেদের বাঙালি বলে মনেও করে না। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বিভিন্ন সময় যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলেছে তার পেছনে নিজেদের ভুল যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী মিয়ানমারবাসীর বাঙালিবিদ্বেষ। ব্রিটিশ শাসনামলে মিয়ানমারের প্রশাসনসহ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয় ভারত থেকে যাওয়া লোকজন। যাদের মধ্যে বাঙালির সংখ্যাই ছিল বেশি। বাঙালি বাবুরা সেখানে সুদের ব্যবসা করে ফুলেফেঁপে উঠেছেন। বর্মি মেয়েদের বিয়ে করে পরে পালিয়ে এসেছেন দেশে। এ আচরণ বর্মিদের মধ্যে যে বাঙালিবিদ্বেষ সৃষ্টি করে তারই শিকার এখন রোহিঙ্গারা। তাদের অদূরদর্শিতা আজকের পরিণামের জন্য কিছুটা হলেও দায়ী।
১৯৪৬ সালে রোহিঙ্গা নেতারা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে যোগাযোগ করে আরাকানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করে। দূরদর্শী জিন্নাহ এ প্রস্তাবে রাজি হননি। বার্মার প্রদেশ আরাকানকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রয়াস ব্যাহত করতে পারে ভেবে জিন্নাহ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হয় আরাকান বা রাখাইন রাজ্য। সে দেশের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদত জুগিয়েছে উলঙ্গভাবে। যে তথ্য উঠে এসেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারের আমলে উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী কূটনীতিক হুসেন হাক্কানির বই ‘পাকিস্তান বিটুইন মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি’ গ্রন্থে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনগুলোর প্রতি পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থার মদত এবং আল-কায়েদা ও আইএস কানেকশন রোহিঙ্গাদের প্রতি বর্মি ও রাখাইনদের বিদ্বেষই শুধু বাড়িয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের সম্পর্ক না থাকলেও তারাই সব নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্য পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা লোভনীয় হলেও জিন্নাহ গ্রহণ করেননি। এটি ছিল তার দূরদর্শিতার পরিচয়। তিনি সম্ভবত সংঘাতপ্রবণ রোহিঙ্গা সম্প্রদায় সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। সেদিনের বার্মা বা আজকের মিয়ানমার ভারতবর্ষের অংশ ছিল না। জিন্নাহ যে পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য ওকালতি করেছেন তার অবস্থান ছিল ভারতবর্ষের দুই প্রান্তে। আরাকান বা রাখাইনকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বললে তা যেমন কোনোভাবে ব্রিটিশদের গিলানো যেত না, তেমনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যেত। জিন্নাহ সেই ভুল করেননি। মানবিক করিডর ইস্যুতে জড়িয়ে আমরা আরও বড় ভুল করব কেন?
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল : [email protected]