২০১৫ সালে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের এক পুলিশ অ্যাকাউন্টেন্টকে হত্যার সহযোগিতার দায়ে আদালত উগ্রপন্থী এক কিশোর মিলাদ আতাইকে ৩৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে তাকে কমপক্ষে ২৮ বছর ছয় মাস কারাবরণ করতে হবে।
মিলাদ আতাইকে শুক্রবার কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টেন্ট কারটিস চেং -কে গুলি করায় ১৫ বছর বয়সী ফরহাদ যাবারকে সহযোগিতার দায়ে তাকে এ কারাদ- দেয়া হয়। কারটিস চেং সিডনী থানার বাহির প্রাঙ্গনে মারা যান। মিলাদ আতাই যাবারের বোনকে ইসলামীক স্টেট-এ যোগদানে সিরিয়া গমনেও সাহায্য করে।
এনএস ডব্লিউ-সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পিটার জনসন বলেন, ‘যদিও আতাই যাবারকে স্বহস্তে বন্দুকের যোগান দেয়নি, কিন্তু সে পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানতো এবং এ ঘটনা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়নি।’
২২ বছর বয়সী ওই যুবক নিজেকে ইসলামী স্টেটের একজন সমর্থক হিসেবে দাবি করে এবং শুরুতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে এ ঘটনার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করে নেয়। সে জানায়,‘সে এই মৃত্যুর জন্যে ‘দুঃখিত বা এ জন্যে তার কোনো অপরাধবোধ’ নেই।’
আতাই রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে।
বিচারক জনসন বলেন, ‘এটা তার অপরাবোধ না থাকা ও উগ্রপন্থী হিসেবে বিশ্বাসে অটল থাকার আরেকটি নমুনা।’
আতাই আদালত ত্যাগ করার সময় বিচারকের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ও বিদেশি ভাষায় চেঁচিয়ে কিছু যেন বলতে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/২৩ নভেম্বর ২০১৮/আরাফাত